• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় অনির্বাণ জানা

অচেনা রোদ্দুর

এইসময়টায় খুব মন ভালো হয়ে যায় শান্তিবাবুর। বগনভেলিয়ার পাতা বেয়ে ভোরের সূর্যের সোনা রঙটা যখন টুপ করে খসে পড়ে বারান্দায়। ঠিক এইসময়ে মাধবী এসে দাঁড়াতো। পূজো সেরে ওঠা পবিত্র মুখ। দুটো বাতাসা শান্তিবাবুর হাতে দিয়ে একটু দাঁড়িয়ে দেখতো। শান্তিবাবু চুষে চুষে বাতাসা দুটো খেতো- দাঁত নেই যে।
দাঁত নেই কিন্তু সুগার আছে।
আজ অন্তু এসে দাঁড়িয়েছে। মাধবীর বর, শান্তির নাতি। হাড়হাবাতে বজ্জাত। কয়েকদিন মাধবী নেই। বাচ্চা হবে। কিন্তু এবাড়ির সবকিছুই গোলমেলে। সবাই আনন্দ না করে উচ্ছে গেলা মুখ করে ঘোরাফেরা করছে। অন্তুকে জিজ্ঞেস করতে খেঁকিয়ে বলেছে “তুমি নিজের চরকায় তেল দেবে না আমায় তেল মাখাতে হবে?” ছেলেটা বড় মারকুটে।
অন্তু একপ্লেট মিষ্টি শান্তিবাবুর সামনে নামিয়ে রাখে। একটু অবাক হয় শান্তি। বলি বলি করে বলেই ফেলে -“আজ বাড়িতে কি কোনো অনুষ্ঠান আছে? সামনে যেন ত্রিপল খাটানো?” অন্তু ঠোঁট কামড়ে মাথা নিচু করে – “বাচ্চা হতে গিয়ে মাধবী মারা গেছে, আজ শ্রাদ্ধ।”
রোদটা মিষ্টির থালা টপকে বারান্দার আলোআঁধারিতে হারিয়ে যায়।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *