কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে আলতাফ হোসেন উজ্জ্বল

চৌর্য বৃত্তিতে প্রশাসন

কমকর্তা , দপ্তরে সংরক্ষিত গোপনীয় প্রতিবেদন,
কত না হেকমত করো যুগযুগান্তর,
বহুব্রীহি বহুস্তর বিপণন প্রসঙ্গ দীর্ঘকাল ;
অক্ষরে অক্ষরে
পালন করে
রাজস্ব আদায়ে ক্লান্তিহীন
গোপালের ভান্ডারকর।

কমকর্তা , তোমার কাহিনী চমকপ্রদ
দুঃখে জ্বলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ঝিকিমিকি?

কমকর্তা , তুমি এ যুগে সঙ্গে যুক্ত-
হেরেছে রাজ্যে সভার
হাড়ি মন্ড : গরীব দুঃখী
বাজার সদাই-পাতি
আনীত ক’রে ঘাড় হয় ক্লান্ত
স্বপ্ন হারিয়ে যায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত।

আর পুরনো কত কথা,
আধিপত্য বিস্তারে
শান্তভাবে বশ্যতা করা-ও
অকাম্য কমকর্তা,
কমকর্তা , তুমি রাজ্যে ট্রেনে
নিরপরাদে দেও ফাঁকি
মন্তব্য একটাই
তোমার রাজ্যের দিক নির্দেশক
তোমার নিয়ন্ত্রণ।

কমকর্তা , তুমি চেষ্টা কর,
অবিরত তোমার চকচকে পোশাক
কলংক কালি লেপ্টে না থাকে।

হে কমকর্তা ! তুমি ইতিহাস গিয়েছ ভুলে
কৃষক, জেলে,দিনমজুরের
ঘামা ভিজা তোমার বিদ্যাজাহির!
লিখে লিখে কর্ম কমিশনে
বুনিয়াদি কোর্সে দিয়েছ চতুর্দিকে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্র।
তবু সাহিত্যে, সংস্কৃতি সৃষ্টিতে মূল্য দেবে না, এতটুকু
সৃষ্টিশীল মানবজাতির গঠনে!
দেবে না তোমায়, জেনো ইতিহাস সংস্কৃতি
বড়ই কৃপণ;
কত লাঞ্ছনা, খাটুনি গিয়েছে
কৃষক, জেলে,দিনমজুরের
ঘুমহীন চোখে অবিশ্রান্ত
অজস্র রাত
তোমার শুদ্ধ লাঠি-সোঁটা বিদ্যার্জনে!

হে কমকর্তা ! হে দিকনির্দেশক !
আর কত দিনে
শুভ সংবাদ হবে
ক্ষীণ হবে অবিচার বানী?
একটা আইন চাই,
শুদ্ধতা অথবা শব্দহীন দ্বিধান্বিত বুকে
বলতে পারি,
কালির কলঙ্ক চিহ্ন মুছে দিয়ে
মানবিক সমাজ সভ্যতা
গড়ে উঠে ভূবণে ভূবণ।
অশ্রুপাত,নিশ্বাস দেখ নিহে কমকর্তা?
দেখ নি রক্তচক্ষু উপেক্ষা
কারন তুমি যেভাবে হোক,
হয়েছো কমকর্তা।
সুনীল স্বপ্ন দেখ নি তুমি?
কারন তুমিতো বুনিয়াদি রূপে
গড়া ফিডব্যাক ফর্ম।
কর্ম সাধনে উজ্জীবিত হওনি
মনে রাখনি তুমার সন্তানেরা
হতে পারে একদা অমানুষী লম্ব:
কত না শতাব্দী,
যুগ থেকে যুগান্তরে
দাসত্ব শৃঙ্খলে আবদ্ধ
রাজ্যে পালের রাজস্ব যোগানে
অতিশয় ব্যস্ত।
ছুড়ে মারো, গড়ে তোলো
পাশ্চাত্যে দূরপ্রাচ্যে দীর্ঘশ্বাস!
দুর্ভাগা ক্রীতদাস হয়ে নয়
সৃষ্টি সৃজনশীলতা হৃদয়স্পর্শী
সব সম্প্রদায়ের অনুগামীরা
নিজেদের মধ্যে প্রাপ্তি যা-ই হোক,
এসে হয় জড়ো হই, স্তম্ভিত হোক,
ক্লারিকাল জব
বন্ধ হোক মজদূরের অবিচার,
প্রিয়া প্রিয় মানুষগুলোর
কর্ম সমপারদর্শী ;
অবশেষে;আর নয়, হে কমকর্তা,
দিকদর্শী বিজয় অর্জন
তোমাতে আমাতে শিক্ষা সংস্কৃতি
জাগ্রত হোক দে-শ দেশান্তরে।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।