মেহেফিল -এ- শায়র আলম হোসেন (নির্বাচিত কবিতা)
শরতের বন
দূর নীলিমায় পাখি উড়ে যায়
মেঘের ছায়ায় শরতের বন
এমন আকাশ কাশফুলে ঢাকা
কেউ কি কোথাও দেখেছে কখন।
পাহাড়ি ঝরনা নদীর জল
বয়ে চলে কলকল সমুখপানে
সবুজ বনানী খাল বিল ঝিল
মন কাড়ে মাঝির বাউল গানে।
বনের সিঁথিতে শিউলি জবা
বিলের জলে শাপলার হাসি
বাংলা আমার হৃদয়ে লেখা
বাংলাকে বড়ই ভালবাসি।
একজন যোদ্ধা
সাজেদা আলী হেলেন
ভগ্নগল্প চৌবাচ্চায় জীবনযাপন,
চোখের আয়নায় স্বপ্ন দিঘল!
অনাদিকাল অপেক্ষায় একটি শ্রাবণের
বন্ধ চোখ ঠায় দাঁড়িয়ে অঝোরে বর্ষণ,
মৃত্তিকায় লুটায় গ্লানি
কে আমি চিনি না !
শিয়রে ঘুমিয়ে থাকা নিজের ছায়া চিনি না!
বেওয়ারিশ স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকা,
ভাসমান জার্মানি ফুল একটু একটু ঝরে পড়া
ভাঙা চাঁদ ঝুলে থাকা আলো নিঃস্বার্থে বিলীন।
দুটি পালক জড়িয়ে বেঁচে থাকা এবং প্রতিদান করুণ
নিয়ম ভাঙার গান সে তো বাজবে জানা ছিল।
কোকিলের বাসায় কাকের ছানা এখানেও ব্যত্যয়!
বারংবার অপদার্থ ভুলের অতলে ডুব দেয়া।
খুঁজে পাওয়া পাটাতন,
সুকৌশলে সরিয়ে নেওয়ার খেলা।
মনস্তত্ত্বের যুদ্ধ নিত্যনতুন কৌশল,
চোরাবালিতে দাঁড়িয়ে নিরস্ত্র’ সৈনিক !
করপুটে স্বপ্নগুলো শক্ত করে ধরে বেঁচে থাকা !
অন্ধ বধির নই!
অদেখা কে দেখি বেশি!
ত্রিনয়নী ভবিষ্যতের ছবি আঁকা
পদ দীর্ঘ জানা, কিন্তু গন্তব্য অতি নিকটে
একটি দফা,
একটি চাবির গোছা,
একজন নিরস্ত্র যোদ্ধা।
মোক্ষম সময় ভয়ানক মায়া অসুখ ছিন্ন করার ।