সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে অনিরুদ্ধ গোস্বামী (পর্ব – ২৭)

অদৃশ্য প্রজাপতি

একদিন তার একটা ওষুধ ওভারডোজ নিয়ে নিয়েছিল সবার অজান্তে। অবস্থা খুবই খারাপ
এর দিকে যেতে থাকে ,কিম্স হাসপাতাল এ ভর্তি করেছিলাম,কিন্তু বাঁচানো গেল না।
এই নাও তার জার্নাল যা তোমাকেই দিয়ে যেতে বলেছিলো।
নীল :আমি কিছুক্ষন কি এই ঘরে একা থাকতে পারি।
উনি চলে গেলেন দরজা টা ভেজিয়ে দিয়ে।
সকাল সাড়ে দশটা এখন।রোদ আসছে জানলার ওপর সাদা পর্দা ভেদ করে। ৬০০ স্কয়ারে ফিট এর ঘরে মাঝ বরাবর কিং সাইজ এর একটি বেড। সাদা ধবধবে বিছানা র ওপর তার একটা ফটো গ্রাফ এ মালা দেওয়া। ডান দিকে কফি রঙের ওয়ার্ডরোব মেঝেতে সাদা কালো স্কয়ারে এর ডিসাইন করা কার্পেট পাতা। বেড এর পাশে টেবিল ল্যাম্প আর তার নিচে আমাদের এর একটা ফটো,চেরাই এ তোলা। আথিরার স্মৃতি ছড়িয়ে আছে এই ঘরে। কিছুদিন আগেও এই সব আসবাবপত্র তার স্পর্শ পেত। ছুঁয়ে দেখতে লাগলাম তাদের। বেড টেবিল এ আলতো করে স্পর্শ করলাম। এক অদ্ভুত শিহরণ খেলে গেল। পাগলের মতো এলোমেলো ভাবে সব কিছু ছুঁয়ে দেখতে লাগলাম। স্পর্শ, গন্ধের মাধ্যমে তাকে ছুতে চাইলাম মনে হলে এইতো সে আছে কিন্তু যখন ই তার ফটোটা চোখের জল আর বাধা মানলো না।
জার্নাল টা খুলে দেখলাম। আথিরা এটা আমাকে দিয়ে গেছে ,এ যে এক অনন্য সম্পদ। তার মনের কথা।ডেট দেওয়া আছে কয়েকটি পাতায়। আমাদের কিছু সুন্দর মুহূর্তের ফটো। পাতা ওল্টাতে শেষ দিকে একটি পাতায় একটা খাম আটকানো দেখলাম। ভেতরে একটা চিঠি ,আথিরার লেখা।
“নীল যখন এই চিঠি তুমি পড়বে তখন হয়তো আমি আর থাকবো না আবার এটাও ঠিক তুমি এই চিঠি পড়ছো মানে তুমি আমার কাছে পৌঁছে গেছ। নীল গেছিলাম তোমার কাছে কিছু ইনফরমেশন নিয়ে চলে আসতে কিন্তু তোমাকে যত জানলাম ,দেখলাম, তোমাকে তত ভালোবাসলাম। কেন জানিনা মন আর পারছিলো না এই দোটানার মধ্যে থাকতে। দেখলাম ভালোবাসার শক্তি অনেক ।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।