সন্ধ্যায় প্রদীপের আলো
ঠিক হাজির হয়
যেই না ধরায় আঁধার নামে।
ওকে কাছে পেয়ে রজনীর কালো
পরিপূর্ণ হয়।
ওকে দেখে গগনে সন্ধ্যা তারার উদয় হয়।
আহ্বান জানায় যমে
তখন ওই মৃদু হাস্য প্রদীপ জ্যোতি।
ঠিক তখনই আমার আঁখি তৃপ্ত হয়।
আলোখানি ওর শান্ত অতি।
গভীর জ্ঞানমতি।
ওই শিখার মাঝে
আগত সাঁঝে
আমার আমি ভরে ওঠে রশ্মির আবেশে।
কিরণের তরঙ্গে মন যায় ভেসে
অনাবিল আনন্দের টানে।
আলোর অশেষ দানে
আমি নবরূপে জাগি আপন প্রাণে।
ছড়া
আকাশে রাত্রি লেখে তারার ছড়া।
পৃথিবীতে বসে হচ্ছে তা পড়া।
গলা ছেড়ে হেঁকে ডেকে।
জানো তা পড়ছে কে কে?
হ্যাঁ গো হ্যাঁ!
পড়ছে তা জোনাকী, বাদুড় ও পেঁচা।
ওরা চেঁচাচ্ছে হাঁ হাঁ হাঁ…..
বিকট শব্দ করে।
এভাবেই ওরা পড়ে।
সারা নিশি এভাবেই ছড়া পড়া চলে।
তখন রেগেমেগে ইঁদুর আর ছুঁচো বলে,
“আরও আরও আরও জোরে চেঁচা!”
তখন কুকুর, বেড়াল ও শেয়াল বলে,
‘আমরাও আছি ছড়া পড়ার দলে।’
এই বলে, তারাও চেঁচিয়ে ছড়া পড়ে।
সবার ছড়া পড়া শুনে খুব খুশি অন্ধকার।
সে বলে, ‘ধন্য তুমি রাত্রি, ওহে ছড়াকার!’