সুখের কথা বলি
বেগবান ধোঁয়ার সফলতার কথা, জীবনগন্ধের ভারে
ক্ষয়িষ্ণু সন্ধ্যার বিরহে
অপেক্ষা-যাচাই , খোলা জানলার ওইপারে
সুদূর রাত্রির অর্কেস্ট্রায় ক্ষুন্নিবৃত্তি ।
অনেক দিন হাঁটতে হাঁটতে এই প্রান্তরের হাওয়ায় হাত মেলে ধরি –
অনুভূতিময় ত্বকের প্রয়োজনাতিরিক্ত স্পর্শে নুয়ে পড়ে
সফল শীষ, কাঠের প্রাণ !
এখানে জন্মান্তর
ইতিহাস-বিরল আদালত কক্ষে আমি খরচ করেছি যৌবন,
বিশ্রাম উপযুক্ত আলাপচারিতায়
দেখেছি খাদ্যের রং ছড়ে যেতে ।
২। খেলা
বহুগামী সেই ছায়াগুলি ঘিরে জলের তলদেশে যে দীর্ঘ জিভের
তর্জমা করেছি আজন্ম ,তার তরঙ্গে আজ-ও সাম্মানিক ডানা ঝরায়
জীবন্মৃত পিঁপড়ের দল ;
ঘরে ফেরার তীব্র বাসনায় আঘাত করি সমস্ত জলতল
আজ কতদিন পর , নামে নামে ডাক পাঠায়নি কেউ ।
ভাঙা কুটিরের পথে কল্পনার কুয়ো আর চৌহদ্দিহীন আকাশকুসুমে
বেড়া বাঁধি, সতর্কে পা ফেলি যেন দুপুরের ঘুম কাটিয়ে
ছিটকিনি খুলে , এক ছুটে, আকাঙ্খার বৃক্ষগুলির প্রশান্ত শিয়রে
বসিয়ে রাখা রঙবাহারি পাখিদের এলোমেলো বার্তা –
কোনো এক মহাশূন্যের পথে পাড়ি দিতে পারে ।
৩। তফাৎ
ঐ যে শূন্যস্থান ভ’রে ওঠার ধ্বনি
ডানার ভাঁজ থেকে গুঁড়ো গুঁড়ো পতনের মাপ
সমৃদ্ধ করে ঠিকানা ;
অর্ধেক জীবন জলের নীচে
চোখ টিপে ব’সে থাকা
জলের রঙ্গোলি ফাঁক ক’রে দ্যাখো
আঁশে ঢাকা বটি
ঘুরিয়ে ধরা নিজের দিকে