Cafe কলামে – আত্মজ উপাধ্যায় (পর্ব – ৪৩)

নরনারীর যৌনপরিষেবা – ৩৫


বিবাহ পুরুষের জন্য একটি ফাঁদ


গণধোলাই বা লিঞ্চিংLynching এখনো পৃথিবীর সবজায়গায় মাঝে মধ্যে কাজ করে। মানুষ যখন আদালত বা বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা রাখতে পারেনা। বা আদালতে গেলে সমুহ ক্ষতি হতে পারে, তখন আইন নিজের হাতে তুলে নেয়। এ এক বিপজ্জনক সামাজিক অন্ধকার।
মহিলারা পুরুষের উপর এত অন্যায় শুরু করছে, যা পুরুষরা নিতে পারছেনা। মহিলাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এছাড়া ভারতীয় আদালত মহিলাদের পক্ষপাতীত্ব করে। যদি বিচার একপক্ষ হয় তাহলে ন্যায় কোথায়?

বিয়ে প্রতিষ্ঠানের সাথে এসব জড়িয়ে আছে।
এই নিরিখে আমার কাছে সমাধানের ভাবনা হল। বিয়ে প্রতিষ্ঠান আর কোন পুরুষ বা মহিলা বলি না দিক এবং বন্ধ হোক বিয়ে।

বিবাহ পুরুষের জন্য একটি ফাঁদ। পারিবারিক জীবনের নামে অনেক দাসত্ব ও দুর্ব্যবহার সহ্য করে আজীবন কাঁধে বয়ে বেড়ানো।
পুরুষদের নিরাপত্তা প্রয়োজন। নারীদের টাকার প্রয়োজন। শ্রম করা শ্রমিক, পুরুষ, নারীদের মজুরি দরকার।
শুধুমাত্র চুক্তির ভিত্তিতে সময়, একটি সময়কাল, বিপরীত লিঙ্গের সাথে যৌন জীবন বা পরিবার পরিকল্পনার জন্য, পুরুষদের নারী শোষণ থেকে সুরক্ষা এবং অন্যান্য নিরাপত্তা দিতে পারে। মহিলাদের জন্য, তাদের যৌন পরিষেবার মজুরি তাদের রুটি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা উপার্জনের ক্ষমতা দেবে।
মানুষ বাড়ী ভাড়ার মতো ১১ মাসের/ ৫ বছরের/ ১০ বছরের চুক্তি পত্র বানিয়ে বিপরীত লিংগের সাথে ঘর সংসার করতে পারে। ঐ সময় চুক্তি অনুযায়ী কেউ কাজ না করলে চুক্তিপত্র খারিজ হয়ে যেতে পারে বা আদালত বিচার করতে পারে। এতে। মহিলা তার যৌন সংগ পুরুষকে দেবার জন্য মজুরী পাবে। বৈবাহিক ধর্ষণ বা বিয়ে বিচ্ছেদ করে পুরুষের সম্পত্তি হাতিয়ে নেবার বা কেউ কারুর দায় দায়িত্বের মধ্যে পড়বেনা।
খবরের কাগজ থেকে কিছু বিষন্ন খবর দিচ্ছি।
১৯৬১ সালের যৌতুক নিষেধাজ্ঞা আইনের অধীনেUnder the Dowry Prohibition Act of 1961, ভারতে যৌতুক দেওয়া এবং গ্রহণ করা উভয়ই একটি অপরাধ। আইন লঙ্ঘনের শাস্তি হল 5 বছরের কারাদণ্ড + ১৫,০০০টাকা ($ 300 AUD) জরিমানা বা প্রদত্ত যৌতুকের মূল্য, যেটি বেশি 5 years imprisonment + Rs 15,000 ($ 300 AUD) fine or the value of the dowry given, whichever is more.।

১৯৮৩ সালে, ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ধারা 304B এবং 498A ( In 1983, Sections 304B and 498A of the Indian Penal Code (IPC) একটি ভারতীয় স্ত্রীর পক্ষে স্বামীর পরিবারের দ্বারা হয়রানির জন্য প্রতিকার করা সহজ করার জন্য তৈরী হয়েছিল।

IPC-এর ধারা 304B যৌতুকের মৃত্যু বা তার স্বামী বা তার পরিবার/স্বজনদের দ্বারা যৌতুকের দাবির ফলে বিবাহের প্রাথমিক সাত বছরে একজন মহিলার মৃত্যু হলে শাস্তি।
বলা বাহুল্য, প্রতিটী নির্মাণের সাথে অন্ধকার সমপরিমাণ থাকে। যেমন ধর্ষণের জন্য আইন আছে, ফলে হিসাবে ধর্ষণের সংখ্যা এত বেড়ে যাচ্ছে তা গুণে কুলানো যাবেনা। আবার ভারতীয় বিধানে আছে মহিলারা ধর্ষণ করেনা, ফলে যতই মহিলারা ধর্ষণ করুক তার চিহ্ন পাওয়া যাবেনা।

IPC-এর ধারা 498A, যা যৌতুক বিরোধী আইন হিসাবে পরিচিত, স্বামী বা তার আত্মীয়দের দ্বারা বিবাহিত মহিলার প্রতি নিষ্ঠুরতা বন্ধ করে বা তাকে ক্ষতি করতে পারে বা তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করতে পারে বা অর্থ বা সম্পত্তির দাবির হতে পারে এই সব নিয়ে।
এই আইন সংশোধনী করে বিবাহিত মহিলাকে হয়রাণি ও নিগ্রহের অপরাধে স্বামী ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং জেলে পাঠানোর অনুমতি দেয় This amendment allows immediate arrest and jailing of a woman’s spouse and her in-laws in the case of harassment or cruelty.।

এই ধারার অধীনে নিষ্ঠুরতার অপরাধ non–compoundable। অন্য কথায়, এটি আবেদনকারী দ্বারা প্রত্যাহার করা যাবে না এবং এটি জামিন অযোগ্যও। এর মানে হল একটি নিছক অভিযোগের ফলে বাধ্যতামূলক গ্রেফতার হয়, এবং তখন জামিন দেওয়া বা প্রত্যাখ্যান করা আদালতের বিবেচনার বিষয়।
India’s Supreme Court noted in July 2017 যে আইন বানানো হয়েছে মহিলাদের পক্ষে সুরক্ষা দেবে বলে সেই আইন মিথ্যা মামলায় আশাতীত সংখ্যায় অপব্যবহার হচ্ছে।
National Crime Records Bureau’s (NCRB) data অনুযায়ী ২০১২ সালে যৌতুক বিরোধী আইনে২০০,০০০ মামলার মধ্যে ১৪% অপরাধী পাওয়া গেছে।

২০১৮র দিকে দেখা গেছে ৮০% মিথ্যা মামলা মহিলারা করছে।২০১৪ সালে ৩১শে জুলাই thehindu প্রকাশিত খবর।
জুন ২রা ২০২১ এ মাদ্রাজ হাইকোর্ট Justice S Vaidyanathan The Madras High Court on Tuesday said it was “unfortunate” that there was no provision like the Domestic Violence Act for a husband to proceed against his wife for lodging a false complaint.
প্রসংগ ছিল বিচারপতি এস বৈদ্যনাথনের Justice S Vaidyanathan একটি বেঞ্চ ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ তারিখে পশুপালন ও ভেটেরিনারি সায়েন্সের ডিরেক্টরের আদেশের বিরুদ্ধে পশুচিকিৎসক পি শশিকুমারের a veterinary doctor, P Sasikumar, দায়ের করা একটি রিট পিটিশনের শুনানির সময় এই মন্তব্য করেছিল। শশীকুমার দাবি করেছিলেন যে তাকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিবাহবিচ্ছেদের কয়েকদিন আগে তার প্রাক্তন স্ত্রীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে, যেখানে তিনি তাকে গার্হস্থ্য সহিংসতার domestic violence অভিযোগ করেছিলেন।
মানে স্ত্রী মিথ্যা মামলা করলে কোন আইন নেই স্ত্রীকে আইনতঃ শাস্তি বিধান করা যায়। এটা বড় ক্ষোভের কথা।
চলবে।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।