সম্পাদকীয়

মরমী প্রকৃতিতে শ্রমজীবীদের জয়গান
নববর্ষের সাথে বসন্ত নিয়েছে বিদায়, বৈশাখ এর আগমন হয়েছে, যদিও ক্যালেন্ডারের কথা শুনছে না খামখেয়ালি প্রকৃতি। কোকিল এখনও কুহুতান ভোলেনি। শিমূলের ডালে নতুন পাতার সাথেও রয়েছে কিছু দেরীতে ফোঁটা ফুল। ভোরের বাতাসে এখনও হিমেল হাওয়া। দুপুরে পারদ ঊর্ধমূখী হতেই বিকেলে একরাশ ঝোড়ো হাওয়ায় আবার শীত শীত রাত। আম্রমুকুল মুকুলিত হয়েছে শাখায় শাখায়। ঘোড়ানিম গাছগুলির কচি কিশলয়েরা ক্যানোপি সৃষ্টি করেছে। প্রজাপতিরা তাদের ডানায় সূর্য্যের ওম নিয়ে ওড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জারুল, ফুরুস এর বেগুনী, গোলাপী আভায় সাজছে ঈষাণ কোণ, কৃষ্ণচূড়া, গুলমোহরের লালে লাল অগ্নি, অমলতাস, রাধাচূড়ার হলদে আভায় বায়ু কোণ রাঙা, ক্যাসিয়া রেনিজেরার গোলাপী আভায় মুগ্ধ নৈঋত, নীলিগুলমোহরের রাজকীয় নীল রঙে মাতোয়ারা চারদিক। মেঘেদের ছুটি শেষ, তারা একে একে নীল আকাশের হাজিরা খাতায় সই করছে। গুর গুর গুড়ুম ডাক ও বিদ্যুৎ ঝলকানিতে গুরুগম্ভীর উপস্থিতি ঘোষণা কালবৈশাখীর। দু এক পশলা বৃষ্টি ঝরে পড়ছে কখনও।সাথে শিল পড়ছে টুংটাং শব্দ তুলে।
আজ ১লা মে… একটা কবিতায় শ্রমজীবী মানুষদের শ্রদ্ধা নিবেদন করি…
প্রযুক্তি যতই দূরকে করেছে নিকট
এক চুটকিতে বার্তা পৌঁছয় ঘরে
সারা বিশ্বকে এনেছে হাতের মুঠোয়
তবুও মে দিন পূজিত জনতার দরবারে।
আইভান বা ফজল মিঞা দুজনেই
ধরেছে পাওয়ার ট্রিলার, লাঙল ছেড়ে
প্রযুক্তি তাদের শ্রমকে করেছে লঘু
তবুও মে দিন পূজিত জনতার দরবারে।
জন হেনরি বা বলরামকে দিয়েছে
ড্রিল ও রোবট, গাইতি-হাতুড়ি কেড়ে
সূ্ক্ষ্ম কাজে এসেছে উৎকর্ষ আজ
তবুও মে দিন পূজিত জনতার দরবারে।
অটোমেটিক যুগের আজ জয়গান
তবুও ম্যানুয়াল ফিরে আসে বারেবারে
যন্ত্রের গোলযোগ সারায় মানবশ্রম
তাই মে দিন পূজিত জনতার দরবারে।
উন্নত থেকে উন্নততর হয়েছে বিশ্ব আজ
লক্ষ মানুষের অবিরাম শ্রম ব্যবহারে
নতুন দিনেও তাঁদের স্মরি আজ
আজও মে দিন পূজিত জনতার দরবারে।
মানুষ তুমি ভুলে যেও না শ্রম
দাওগো আজ ছুটি যন্ত্রমানবেরে
আজকে না হয় আবার ফেরাও সেদিন
মে দিন সতত পূজিত জনতার দরবারে।
এর সাথেই কিছু অসাধারণ লেখনীতে সেজেছে এ সপ্তাহের টেক টাচ টকের সাহিত্য জোন… চলুন পড়ে নেওয়া যাক…
সায়ন্তন ধর