মার্গে অনন্য সম্মান খুশী সরকার (সর্বোত্তম)
by
·
Published
· Updated
অনন্য সৃষ্টি সাহিত্য পরিবার
সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা পর্ব – ৪১
বিষয় – কনকাঞ্জলি / কালবৈশাখী
ধ্বংসেই সৃষ্টির বার্তা
বৈশাখ মাসের রুদ্র তাপে শুষ্ক যখন ধরার মুখ,
পিয়াসী মনের হাহাকারে ফেটে যায় তার বুক।
একবিন্দু জলের তরে চেয়ে যত মানুষ বন্য পাখি,
কৃষ্ণকায় মেঘ কালবৈশাখী রূপে হঠাৎ আভাসে আঁখি।
মধ্যানহ্ন গগনে প্রদীপ্ত রবির হঠাৎ আলো হল ম্লান ঘন কৃষ্ণ মেঘ ঢাকা আকাশের ছায়াই কম্পিত প্রাণ প্রানের শঙ্কায ভীতিবিহ্বল জল স্থল বনভূমি,
রুদ্ধশ্বাসে যেন থর থর কাঁপে আপন ললাটে চুমি।
ভীষণ গর্জন গুরু গুরু রব দিগন্ত পিঙ্গল রঙে,
উন্মত্তের মতো ছুটে আসে ঝড় নটরাজ নৃত্য ঢঙে।
প্রলয়বেগে ছুটে আসে সমীরণ বিদ্যুৎ চমক সাথে,
দিকদিগন্ত কাঁপে যেন মুহুর্মুহু ক্রম বজ্রপাতে।
সুর অসুরের অমিত বিক্রমে প্রবল সমর কালে,
বাঁকা তলোয়ার যেন সৌদামিনী অসুর বিনাশ ভালে।
এমন বীভৎস ভয়ংকরতায় প্রমাদ গোনে যে ধরা,
বিটপের সারি নিষ্পন্দে দাঁড়ায় আশঙ্কা আতঙ্কে ভরা।
বজ্র-বিদ্যুতের প্রবল বিক্রমে যুদ্ধশেষে বৃষ্টি নামে,
পরাভূত মেঘ জল হয়ে গলে ধরণীতে এসে থামে।
নোংরা আবর্জনা যত পঙ্কিলতা ধুয়ে মুছে যায় শেষে,
ঝলমলে রোদ্দুরে ধরণী আবার প্রাণ খুলে ওঠে হেসে।
মৃদু সমীরণ বয়ে যেতে যেতে শীতল পরশ বুকে
নৃত্যে ছন্দে তালে ধরণীর বুকে উচ্ছ্বাস আনন্দ সুখে।
তটিনী তরঙ্গ আনন্দ স্পন্দনে জেগে নেচে ওঠে
হর্ষ কোলাহলে প্রাণ জাগরণে ধরণীর হাসি ঠোঁটে।
ভয়াল ভৈরবী কালবৈশাখী আসে সংহার মূর্তিটি ধরে,
জরাজীর্ণ সব পুরাতন ধুয়ে প্রাণের সঞ্চার করে।
নব উদ্যমে নতুন সঙ্গীতে কলমুখরিত ধরা,
নতুন হরষে নব বরষের আগমনী গানে ভরা।