|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় সজল বন্দ্যোপাধ্যায়
by
·
Published
· Updated
কর্মফল
চোখের জল মুছতে মুছতে কাঁধের ব্যাগটা পার্কের বেঞ্চে রেখে পাশে বসে পড়ে পরমা । ভাবে , এ সবই তার নিজের কর্মফল । কিন্তু এখন কোথায় যাবে সে ! আর তো কোথাও যাবার জায়গা নেই তার ।
ঠিক একই ভাবে সে শাশুড়িকে তাড়িয়ে ছিল বাড়ি থেকে । তখন তার ভরা যৌবন । প্রচন্ড দাপট । বুবুনের বাবাও ভয় পেতো । শুধু মিনমিনে গলায় বলেছিল ,” মা এবার কোথায় যাবে পরমা । এভাবে তাড়িও না ।”
কিন্তু পরমার গলার দাপটে সেদিন চুপ করে গিয়েছিলেন বুবুনের বাবা । ভেবেছিলেন , তাঁর তো বোন আছে । মা ঠিক আশ্রয় পেয়ে যাবেন ।
আর সত্যিই সে দিন থেকে পরমার শাশুড়ি মৃত্যু পর্যন্ত থেকে গিয়েছিলেন মেয়ের বাড়ি ।
আড়াল থেকে সাত বছরের ছোট্ট বুবুন সবই দেখেছিল । কিন্তু কী ভেবেছিল কে জানে !
আজ পরমা ভাবছে সে দিনের কথা । শাশুড়ির তো মেয়ে ছিল একটা । আশ্রয় পেয়েছিলেন তিনি । কিন্তু তার তো বুবুন একমাত্র সন্তান । এবার কোথায় হবে তার আশ্রয় ।
অলক্ষ্যে বিধাতা হাসতে থাকেন । আর বলেন ,” কর্মফল সবটাই ইহকালে ফলে যায় রে । পরকাল তো চিন্তা মাত্র !”