সাপ্তাহিক অণু উপন্যাসে সুব্রত সরকার (পর্ব – ৫)

বনবাসের বর্ণমালা

পাঁচ

ঝম ঝম করে বৃষ্টি হচ্ছে। ঘুম ভেঙ্গে যায় শুভ্রর। টিনের ছাদে বৃষ্টির ঝংকারে আর ঘুম আসে না। বিছানা ছেড়ে নামে আসে। ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দায় দাঁড়াতেই টের পেল প্রবল এক ঝোড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টির জল ধেয়ে আসছে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকলে একদম ভিজে যেতে হবে।
দৌড়ে ঘরে ঢুকে পড়ে শুভ্র। তারপর জানালার পর্দাগুলো সরিয়ে দিয়ে বিছানায় বসে ভোরের বৃষ্টির দিকে চেয়ে থাকল আনমনে। সোনাখাঁয় যখন ছিল, লালিগুরাসের বারান্দায় বসে একদিন অনেকক্ষণ এমন প্রবল ঝড় বৃষ্টির রূপ শুভ্র দেখেছিল। আর দারুণভাবে ভিজেও ছিল একদিন।
এখন ভোরের এই প্রবল বৃষ্টির দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে গতকাল সন্ধ্যার স্মৃতিটা ফিরে এল। হরিশংকর যে এত সুন্দর গিটার বাজাতে জানে, তা শুভ্র জানত না। টিনা ভাবীও গান গায় চমৎকার। দু’জনে মিলে ডুয়েট গেয়ে একদম মাতিয়ে দিয়েছিল কালকের সন্ধ্যাটা।
বলিউডের পুরোনো জনপ্রিয় তিনটে গান ওরা পর পর গেয়ে গেছে। তারপর দু’জনে বেশ সুরেলা দুটো নেপালি গান গেয়েছিল। হরিশংকর গিটার বাজিয়ে যখন ‘ছুকর মেরে মন কো, কিয়া তুনে কেয়া ইশারা…’ গাইছিল, শুভ্রর তখন ফেলে আসা নিজের কলেজ জীবনের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। অতনু ঠিক এমনি করেই গিটার বাজিয়ে কলেজ ফেস্ট মাতিয়ে দিত। কাল সন্ধ্যার আড্ডাটা গানে গানে দারুণ জমে উঠেছিল।
আরাধনাও কাল ছিল। ও এখন প্রায় বিকালেই চলে আসে। ও এলে শুভ্ররও বেশ লাগে। অনেকরকম গল্প হয়। খুব হাসি খুশি থাকতে ভালোবাসে আরাধনা। শুভ্র এর মধ্যে ওর মা-বাবার একটা স্কেচ করে দিয়ে এসেছে। সে স্কেচ হাতে পেয়ে ওর বৃদ্ধ মা, বাবা তো দারুণ খুশি। আরাধনা কতবার থ্যাঙ্ক ইউ বলেছে। শুভ্রর আবদার ছিল মোমো ও কফি খাওয়াতে হবে। আরাধনা সেদিন খুব যত্ন করে চিকেন মোমো ও কফি খাইয়েছিল। তবে ভিক্টোরিয়ার সেই ভেজ মোমোর মত অত সুন্দর হয় নি। কিন্তু কড়া করে বানানো কফিটা বেশ হয়েছিল। ফিরে আসার সময় শুভ্রকে ওর বাবা একটা সুন্দর রঙিন নেপালি খাদা গলায় পরিয়ে দিয়ে হেসে বলেছিলেন, “খুব খুশি হয়েছি বেটা। আবার আসবে।”
আরাধনার বাড়িতে সেদিনই প্রথম গিয়েছিল শুভ্র। পাহাড়ের উঁচু ধাপে সাজানো গোছানো ছোট্ট বাড়ি। বাড়ির উঠোন জুড়ে বাহারি সব ফুলের গাছ। কি সুন্দর সব ফুল ফুটে আছে। কি রঙ তাদের! সুন্দর সুন্দর কত অর্কিডে ভরা। বাড়ির বাগানে দুটো ঝাঁকড়া কমলালেবুর গাছ দেখে শুভ্রর বেশ লেগেছিল।
আরাধনাদের বাড়িটা ছোট্ট। কিন্তু চমৎকার করে সাজানো। বসার ঘরটা খুব যত্ন করে গুছিয়ে রাখা। ঘরের দেওয়ালে তিব্বতি ধর্মগুরু দালাই লামার একটা বিরাট ছবি। ছবির পাশেই লেখা, ‘Peace will not come from the sky… Peace must be built through our own actions.’ এই গভীর অর্থবহ কথাটার নীচে লেখা, ‘His Holiness the Dalai Lama, at the U.S. Institute of Peace, 13 June, 2016.’
আরাধনার বাবা চমৎকার বাংলা বলতে পারেন। দীর্ঘদিন চা বাগানের ম্যানেজার ছিলেন। বাগানের মালিক ছিলেন কলকাতার বাঙালি। তাঁর সাথে, তাঁর পরিবারের সাথে কথা বলতে বলতে সুন্দর বাংলা শিখে ফেলে ছিলেন। ভদ্রলোকের বয়স হয়েছে। তুলনায় স্ত্রীর বয়স কম। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের অনেক ব্যবধান রয়েছে।
একদিন কিভাবে এই পাহাড়-জঙ্গলের দখলদার হয়ে উঠেছিল ব্রিটিশ সৈন্যরা, কি ভাবে অত্যাচার করে আমাদের তৎকালীন দেশীয় রাজাদের থেকে সব কেড়ে নিয়ে ওরা রাজত্ব চালিয়েছিল, তার ঐতিহাসিক গল্পগুলো আরাধানার বাবার মুখে সেদিন শুনে এই অঞ্চলটাকে নতুন করে যেন আবিষ্কার করে শুভ্র। ভালোবেসে ফেলে আরও বেশি করে।
আরাধনা পলিটিকাল সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেছে, তার বড় কারণ ওর বাবার ইচ্ছে ছিল মেয়ে এই সাবজেক্ট নিয়ে পড়ুক। ইতিহাস, পলিটিকাল সায়েন্স নিয়ে পড়লে দেশ-বিদেশের অনেক অজানা কথা-গল্প সব জানা যায়। কিন্তু আরাধনা সেদিন বলেছিল, ওর প্রিয় সাবজেক্ট ইংলিশ। লিটেরেচার পড়তে ওর খুব ভালো লাগে। বসার ঘরে বইয়ের আলমারিতে অনেক ইংরাজি বই চোখে পড়েছে শুভ্রর। তার মধ্যে রাস্কিন বন্ডের তিনটে বই ছিল, The Room on the Roof, The Adventures of Rusty, An Island Of Trees. এছাড়াও ছিল Charles Dickens এর Collected Stories, O. Henry এর 100 Selected Stories, Oscar Wilde এর Complete Stories.
শুভ্র নিজে রাস্কিন বন্ডের লেখা খুব পছন্দ করে। ওঁর প্রায় সব লেখাই শুভ্র পড়ে ফেলেছে। আরাধনাকে সে কথা জানাতেই আরাধনা খুব উজ্জ্বল হেসে বলে, “আমারও ভীষণ ভালো লাগে রাস্কিনের লেখা। আমি খুব রিলেট করতে পারি ওঁর পাহাড়কে নিয়ে লেখা গল্প গুলোর সাথে। কলেজ লাইব্রেরিতে বসে ওঁর ছোট ছোট কালেকসনস গুলো পড়ে ফেলেছিলাম। কালিম্পং পাহাড়ের খুব সুন্দর এক জায়গায় ছিল আমাদের কলেজ!”
খুব চা খেতে ইচ্ছে করছে। একদম ভোর আর নেই। ঘড়িতে সাতটা পঁচিশ। কিন্তু হরি, টিনা ভাবী কেউ ঘুম থেকে এখনও ওঠে নি। ভোরের বৃষ্টিতে ঘুমঘোর আচ্ছন্নতায় ওরা হয়তো টের পায় নি যে সকাল হয়ে গেছে অনেকক্ষণ। নীচে গিয়ে একবার ওদের ডেকে দেবে কিনা ভাবছে। এসময় ফোনটা বেজে উঠল। মণিকুন্তলার ফোন। শুভ্র হাইতোলা ভঙ্গীতে বলল, “হ্যাঁরে বল…”
“ঘুমোচ্ছিলিস নাকি?”
“তোর মত নাক ডেকে বেলা অবধি আমি ঘুমাই না।”
“আমি নাক ডেকে ঘুমাই তোকে কে বলল?”
“জানি বলেই বললাম।”
“কচু জানিস! চা খেয়েছিস?”
“না রে এখনও চা খেতে পারি নি।”
“এই জন্যই তোর মেজাজটা এমন খিঁচরে আছে। আহা রে! সকালের চা টাও জোটে নি কপালে!”
“তোর মত সুন্দর কপাল তো আমার নয়।”
“আমার কপাল সুন্দর না ছাই!”
“কেন? কি হল আবার তোর?”
“জামাইবাবুটা ফের উল্টোপাল্টা মেসেজ পাঠাচ্ছে। কি করি বল তো?”
“এবার তুই দিদিকে বলে দে। নয়তো থানায় জানা।”
“তোর বুদ্ধিতে চললে সমস্যা আরও ঘোরতর হবে।”
“তাহলে কার বুদ্ধি নিবি ভাবছিস?”
মণিকুন্তলা চুপ করে থাকে। শুভ্র একটু ভেবে বলল, “লোকটাকে জব্দ করতে না পারলে তোকে সারাজীবন ভোগাবে।”
“জানি তো! কিন্তু খালি দিদির কথা ভেবে কিছু করতে পারছি না।…”
আজ মণিকুন্তলাকে একটু যেন অসহায় ও বিরক্ত মনে হল শুভ্রর। ওর এই সমস্যাটা বহু পুরনো। শুভ্রই শুধু জানে। কিন্তু কিছু করতে না পারার জন্য শুভ্ররও খুব খারাপ লাগছে এখন।
হরি এসে চা দিয়ে বলে গেল, আজ নাস্তায় চাউমিন বানানো হবে। সকালের প্রথম চা টা খেতে খেতে শুভ্র দেখল, বৃষ্টি অনেকটা ধরেছে। মেঘ কেটে গিয়ে একটু একটু রোদ উঠছে। বাইরেটা খুব স্নিগ্ধ এখন। চারপাশের পাহাড়-জঙ্গলকে দেখে চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি ভেজা এই সবুজ প্রকৃতির দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে শুভ্রর সকালটা বড় মনোরম হয়ে উঠল।
মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখল নেট আছে। অন করে একটু হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকটা খুলে দেখলে হয়। হোয়াটসঅ্যাপে অনেক গুডমর্নিং এসে জমে আছে। দু’চারটে খুব একই ধরণের, দু’চারটে আবার বেশ অন্যরকম। সুপ্রভাতের সাথে আসা এই কোটেশানটা অপূর্ব, ভীষণ মন ছুঁয়ে গেল, “যত বড় প্রকৃতি রসিকই হোক না কেন, এ নির্জন অরণ্যভূমিতে কিছুদিন বাস করতে হলে নিছক প্রকৃতি রসিকতা ছাড়াও আর কিছু থাকা দরকার। সেটা হল নির্ভীকতা, নির্জন বাসের শক্তি, নিত্য নতুন বিলাসের লোভ সংবরণ।” কথাগুলো বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
শুভ্র এই কথাগুলো মন দিয়ে আরো দু’তিনবার পড়ল। ওর এই নির্জন বনবাসের দিনগুলোতে এমন এক দার্শনিক ভাবনায় সমৃদ্ধ কথাগুলো ওকে দারুণ ভাবে অনুপ্রাণিত করল। ঠিক দু’দিন আগেও এমন একটা সুন্দর কথায় সাজানো গুডমর্নিং মেসেজ পেয়েছিল, “sometimes rain and sometimes sunshine, that is life.” এসব ছোট ছোট কথাগুলো প্রতিদিনের জীবনটাকে বেশ তাতিয়ে সতেজ করে দেয়।
বরুণ আজও দুটো কাগজের লিঙ্ক পাঠিয়ে দিয়েছে। একটা লিঙ্ক খুলে শুভ্র খবরগুলো পড়তে শুরু করল। খবরের কাগজের প্রথম পাতা থেকে শেষ পাতা পর্যন্ত শুধুই করোনার খবর। দেশের খবর, রাজ্যের খবর, পৃথিবীর খবর-সব খবরই করোনার। কানু বিনা যেমন গীত নেই, করোনা বিনা খবর নেই!
দুটো কাগজেই একটা খবর খুব আলোচিত হয়েছে। খবরটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল শুভ্রর। নিজের ঘর-বাড়ি, গ্রাম-শহর, রাজ্য ছেড়ে যে সব মানুষগুলো পেটের জ্বালায় কাজ করতে বাইরে চলে গিয়েছিল, তারা আচমকা এই চার ঘণ্টার নোটিশে দেশ জুড়ে নেমে আসা লকডাউনে দিশেহারা হয়ে পড়ে। তাই তারা আর কোনও কিছুই না ভেবে হাঁটতে শুরু করে দেয় বাড়ির দিকে। একশো, দুশো, তিনশো, চারশো মাইল তারা হাঁটছে। পা ফেটে রক্ত ঝরছে রাজপথে, কালো রাজপথ রক্তে ভিজে লাল হয়ে যাচ্ছে। এভাবে হাঁটতে হাঁটতে কত মানুষ পথেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। এরা নাকি ‘পরিযায়ী’ শ্রমিক!…
এমন পরিযায়ী এক শিশু শ্রমিকের করুণ কাহিনি ছাপা হয়েছে। সে বড় মর্মান্তিক মৃত্যু সংবাদ। বারো বছরের এক কিশোরী কন্যা, নাম তার জামলো মকদম। সে লংকা ক্ষেতে কাজ করত। ছত্তিশগড় থেকে ওকে একরকম ক্রীতদাসী শ্রমিক করে নিয়ে গিয়েছিল আড়কাঠির দল অন্ধ্রপ্রদেশে। সে মেয়ে হঠাৎ ঘোষণার লকডাউনে দিশেহারা হয়ে পড়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য হাঁটতে শুরু করে দেয়। কোথায় ছত্তিশগড় আর কোথায় অন্ধ্রপ্রদেশ, সে মেয়ে জানে না! তাই সে হাঁটা আর বাড়িতে এসে শেষ হয় নি। পথেই একরত্তি মেয়েটা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
এই সব খবরগুলো পড়ে শুভ্রর মনটা বড় বিষণ্ণ হয়ে যায়।
হরি এসে নাস্তা দিয়ে গেল। ধোঁয়া ওঠা গরম চাউমিন থেকে বেশ সুগন্ধ বেরচ্ছে। আর সস লাগবে কিনা জিজ্ঞাসা করায় শুভ্র বলল, “না।” হরি ফিরে যাওয়ার সময় বলে গেল, “খেয়ে নিন। ফির একবার চা দিয়ে যাব।”
নাস্তা খেতে খেতে শুভ্র কাগজে প্রকাশিত আরও অনেক খবর গুলোর কথাই ভাবছে। করোনার সংক্রমণ কলকাতা ও হাওড়ায় ভীষণভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। কঠোর ভাবে নিষেধ করা হচ্ছে, কেউ যেন বিনা প্রয়োজনে পথে না বেরয়। পথে বেরলে মাস্ক অবশ্যই পড়তে হবে। স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে ভীষণ ভাবে। আর একে অপরের সাথে দূরত্ব রক্ষা করে চলতে হবে।
মায়ের জন্য শুভ্রর মন খুব ব্যাকুল হয়ে গেল। দু’দিন আগে মায়ের সাথে যখন কথা হচ্ছিল, মা বলল, কাজের দিদিকে দাদা আসতে বারণ করে দিয়েছে। এখন ঘরের সব কাজ মা একাই করছে। তাই খুব পরিশ্রম হচ্ছে। মা খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। দাদা বারণ করেছে এখন রোজ ঘর, সিঁড়ি মুছতে। মা তবু মুছবে। বাসি ঘরে, নোংরা ঘরে কেন থাকব? মা এই যুক্তিতে পরিশ্রম বেশি হলেও, সে সব কাজ করছে।
দাদা কোনওদিনই বাড়িঘরের কাজ কিছু করত না। বৌদির সাথে ডিভোর্স হওয়ার আগে দাদার এই ফুলবাবু স্বভাবের জন্য বৌদি খুব কথা শোনাত মাকে। বৌদির সে সব ঠেস মারা কথাগুলো শুনে মনে মনে খুব রেগে যেত শুভ্র। কিন্তু মুখে কিছু বলত না বৌদিকে। বৌদিকে অসম্মান করে কোনওদিন কোনও কথা বলে নি শুভ্র।
দাদা-বৌদির বিচ্ছেদটা অনিবার্য ছিল। ওরা কেন যে হঠাৎ বিয়েটা করে ফেলেছিল কে জানে! ফেসবুকে আলাপ। পার্কে দু’বার ফুচকা, ফুটপাথে তিনবার এগ রোল, রেস্টুরেন্টে একদিন বিরিয়ানি খেয়েই ওদের মনে হয়েছিল, এবার বিয়ে করা যায়। এবং করেই ফেলল বিয়ে! যেমন বিয়ে, তেমনই তার বিচ্ছেদ। মাঝখান থেকে একটা দগদগে ঘা সৃষ্টি হয়ে গেল সংসারে।
শুভ্রর তাই প্রেমে, বিয়েতে কেমন যেন একটা অনীহা। মেয়েদের সাথে কথা বলতে, গল্প করতেই বেশি ভালো লাগে। চিরস্থায়ী কোনও সম্পর্কে জড়াতে ইচ্ছে করে না। ভয়ই পায়। কিছুটা দাদার এই ব্যর্থ সম্পর্কের জন্য। আর এছাড়াও দায়িত্ব, কর্তব্য, দায়বদ্ধতা এই সব কঠিন জটিল ব্যাপারগুলোকে যদি না সামলাতে পারে, তার থেকে যেন ও মনে করে, এই বেশ আছি একেলা!…
একলা থাকার এই মজা যেন শুভ্রকে অনেক বেশি সতেজ, প্রাণবন্ত করে রেখেছে। তাই এই ফাঁদ পাতা ভুবনে পিছলে পা হড়কাতে চায় না শুভ্র!…

ক্রমশ…

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।