বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাইতে জন্মগ্রহণ করেন।
যিনি ফুল প্রকৃত,নদী,সমসাময়িক জনজীবনের ঘটনা গুলো কবিতায় সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করেন।কবিতায় লেখে যাচ্ছেন দুর্বিষহ জীবনের করুণ আর্তনাদের কথা বারবার।
১। তোমাকে দেখার পর
তোমাকে দেখার পর কি রকম পাল্টে গেছি আমি,
উদাস উদাস ভাঙাচোরা হয়ে পড়ে আছি ঘরের এক কোণে।
যে প্রেম মাঝ পথে হাঁটু গেড়ে বসে গিয়েছিলো,
সে প্রেম আজ উঠে দাঁড়িয়েছে
দ্বিগুণ উৎসাহে।
তোমার স্পর্শে শব্দকে দেখেছি রাবণের বিরুদ্ধে তলোয়ারের ঝংকার তুলতে,
কবিতার পদভারে বিশ্বময় বিদ্রোহীর কম্পন সৃষ্টি করতে,
খুচরো শব্দে নির্মিত কবিতা তোমার স্পর্শে রাইফেলের মত বেজেছে,
ব্যর্থ প্রেমিক খুঁজে পেয়েছিল আলোর লহর,
কখনো দেখেছি কবিতার জন্য তোমাকে ভেঙে যেতে,ছেঁড়া ফাঁটা হয়ে যেতে
মুছে যেতে দেখছি রাঙা সিঁদুর,
ভেঙে গেছে হাতের রঙবেরঙের কাঁকন।
দেখেছি অরুন্ধতী হয়ে বিস্তীর্ণ ইউরেশিয়ান অঞ্চলে আগমন করতে অগ্নিবীণা নিয়ে।
তোমার প্রতিটি কথাই সৃষ্টি করে কাব্যের নদী,
তোমার হাসিতে ঝরে বসন্ত,
থোকা থোকা কৃষ্ণচূড়া।
তাই তোমার আঁচলে বেঁধে নিয়েছি
আমার এলোমেলো জীবনের উপাখ্যান।
২। দেশের দুশমন
পেটুক যত জুটছে শালা
উচ্চ উঁচু পর্যায়ে,
ধান্দায় অতি রং তামাশা
নিথর মৃত্যু শয্যায়ে।
জীবন নিয়ে জুয়া খেলে
ক্রোরের স্তুপ তার,
মা মাটির সাথে বেইমানি
চলবে কতকাল আর?
সাধু জুটবে যত চোরের পক্ষে
তাদের গাইবে যত গান,
বরং মায়ের বুকে বাড়বে ক্ষত
বিশ্বে ধুলিস্যাৎ দেশের মান।
যে অত্যাচারীর সাফাই গায়
সেও নয় সাধু জন,
তার মুখটাও মুখোশে ঢাকা
শালা দেশের দুশমন।