সাপ্তাহিক শিল্পকলায় “মানব জীবনের সার্থক গল্প: থর্ণটন ডায়াল” – লিখেছেন আলবার্ট অশোক (পর্ব – ৭)
না ডায়াল করলে উনাকে পাবেননা। ১৯২৮ সালের মাল কতদিন যমরাজ থাকার লাইসেন্স দেবেন! সরকারি বেসরকারি পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতালগুলি ভুলভাল চিকিৎসার অপরাধ ঢাকতে, কিংবা অক্ষমতা ঢাকতে কত প্রেসক্রিপসান ফরোয়ার্ড করে দেয় বৈতরণীর ওপারের অফিসে, যার যায় সে বোঝে! যদিও ডায়াল এই মুমুর্ষু বাঙ্গালার নন, তিনি মার্কিন মুলুকের। তবু মাল ৯০বছরের পর রাখা মানে দুপক্ষেরই কষ্টের। এতবড় জায়গা জুড়ে অবস্থান করছিল, ছোটখাট জিনিসগুলি চাপা পড়ে মরে যাচ্ছিল। ছোট হলেও প্রত্যেকের একটু সাধের জন্ম চেখে নেওয়ার মৌলিক অধিকার বুঝেই যমরাজ মালটা সরিয়ে ফেলেছে। ইংল্যান্ডের রাণী এলিজাবেথ নম্বর দুই, কত বছর রাণী হয়ে বসে আছেন। উনার ছেলের জন্য কোন দয়ামায়া নেই! ভাবলে অবাক হই। বেচারা যুবরাজের কপালে সিংহাসন জুটবেনা। যমরাজ, ডিপ্লোম্যাসির জন্য এখানে কিছু করতে পারছেনা। কিন্তু ডায়াল থামিয়ে দিয়েছে। এই জন্যই রাগ ধরে। কারচুপি সবখানেই আছে।
এত জায়গা জুড়ে অবস্থান করলে মাল আমাকেও বলতেই হচ্ছে। হীরের টুকরাকে আমি মালই বলি। কয়লা হলেও বলি মাল। কিন্তু হীরে হল দামী মাল।বুঝে নিতে হবে দামী না কমদামী! এইটুকুই পার্থক্য। ডায়াল হল দামী মাল। হীরের টুকরা। না, আমেরিকায় জন্মেছেন তো। ভাগ্য দুর্দান্ত। বাংলায় হলে কবে মোবাইলের মত টিপে টিপে ভাগারে ছূঁড়ে ফেলত, আর ওই, কি যেন নাম, মাংস সাপ্লাইওয়ালার, গলিত শব ফ্রিজে রেখে বড় হোটেলগুলির কিচেনে পাঠিয়ে দিত। যমরাজ ডায়ালের ৮৭ বছর মঞ্জুর করে তুলে নিয়েছিল। আর ডায়ালকে মার্কিনমুলুকের মেজর আর্টিস্টের খ্যাতি দিয়েছিল। তাকে নিয়ে মার্কিন দেশে চুলোচুলি কম হয়নি। বলেছিল এ শালা, আউট সাইডার। বাইরের মাল, ওকে নেওয়া যাবেনা। কিন্তু ধোপে টেঁকেনি। জ্যাকসন পুলকের যে র্যাঙ্ক, সম্মান, ডায়ালের একই লেভেল।
যাকগে।
(মৃত্যুর আগে আলবামার মেয়র কার্ল ডিনের সাথে থরন্টন ডায়াল হুইল চেয়ারে)
এই হীরের মালটার জন্ম আমেরিকার সামটার জেলা Sumter County, আলবামাতে। নাম Thornton Dial থর্নটন ডায়াল। অত্যন্ত গরীব ঘরে জন্মেছেন। মরেছেন রাজার মতো হয়ে ২০১৬তে। তিনি তার আঁকাবাকা রেখায় কাগজের উপর ছবি থেকে শুরু করে সহজ লভ্য ও ফেলে দেওয়া লোহা টিন, ইত্যাদি পরিত্যক্ত ধাতব বস্তু, প্লাস্টিক, পুতুল আরো নানা জিনিস চোখের সামনে পরিত্যক্ত জিনিস দিয়ে বিশাল বিশাল ভাস্কর্য করে,আমেরিকার শ্রেষ্ঠ শিল্পীদের শ্রেণিতে নিজের অবস্থান পাকা করে নিয়েছেন।
ডায়াল আফ্রিকার বংশসূত্রের আমেরিকার নাগরিক। খুব কষ্টের মধ্যে তার শৈশব কেটেছে। জীবনকে তিনি কাছ থেকে দেখেছেন। তার দক্ষিন আমেরিকার কালো মানুষদের পরাম্পরা বা ঐতিহ্যকে মাথায় রেখে সমসাময়িক জীবনকে তার দৃশ্যকলাতে ফুটিয়ে তুলেছেন।
স্কুলের পড়াশুনা ছিলনা। দারিদ্রতার কারণে ১২ বছর বয়সে আলবামার বেসিমারে Bessemer, Alabama আত্মীয়দের সাথে থাকতে পাঠানো হয়েছিল। পরে সেখানে স্থানীয় রেলরোড কার প্লান্টে , গাড়ির কারখানায়, ধাতুর- লোহার কারিগর হিসাবে কাজে যোগ দেন। সেখানে নানা গাড়ির ড্রয়িং করতে হত তার পর ড্রয়িং অনুসারে পার্টস গুলি একজায়গায় জুড়তে হত।এইভাবে তিনি ড্রয়িং করে নানা জিনিস জুড়িয়ে কোন কিছু বানাবার অনুপ্রেরণা পান ও উচ্চাশী হয়ে উঠেন। দড়ি বালতি, ড্রাম, ইত্যাদি পরিত্যক্ত জিনিস সর্বত্রই পাওয়াযায়, এগুলি লোকে ফেলে দেয়। ফলে সেগুলি কুড়াতে অসুবিধা নেই।
তার যখন ৬২ বছর পেরিয়ে যায়, তার কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। তিনি তখন স্থির করলেন, তিনি এই ফেলে দেওয়া জিনিস নিয়ে ভাস্কর্য বানাবেন। একজন স্বশিক্ষিত শিল্পী , ডায়ালের পরিচিত, ডায়ালকে একজন কিউরেটরের William Arnett কাছে নিয়ে যান। কিউরেটর খুবই প্রসিদ্ধ মানুষ। তিনি থর্নটন ডায়ালের কিছু কাজের নমূনা দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েন।১৯৮৭ সালে উইলিয়াম আর্নেট, থর্নটন ডায়ালের কাজ কিছু ছোট জায়গায়, জর্জিয়ায় , বাকহেড- এ প্রদর্শনী করেন। দেখা গেল লোকে ভীষণ খুশী। ১৯৯৩ সালে। ডায়ালের জীবনে বড়সড় রকমের গৌরব এল। নিউইয়র্কের দুটি জায়গায় ডায়ালের প্রদর্শনী। এরপর ডায়াল, কিছু হিংসুটে মানুষের সমালোচনা পেরিয়ে ডায়াল ইতিহাস গড়ে নিলেন। আজ আমেরিকার মেজর (বড়) শিল্পী।
মানুষের সংগ্রাম ও জয় এক মানব জীবনে বড় গল্প। মানব জীবন সার্থকতার উদাহরণ।
গল্পটা আবার সুন্দর করে পড়ুন।
থরন্টন ডায়াল (10 সেপ্টেম্বর 1928 – 25 জানুয়ারী 2016) একজন অগ্রণী আফ্রিকান-আমেরিকান শিল্পী যিনি 1980 এর দশকের শেষের দিকে বিশিষ্টতা লাভ করেছিলেন।
ডায়ালের কাজেরসম্ভার , যা কখনো বিশাল করে বানানো, পরিত্যক্ত লোহালস্কর ইত্যাদি জুড়িয়ে মজবুত নির্মাণের শিল্পভাস্কর্যগুলি অভিব্যক্তিপূর্ণ, বৈচিত্র্য প্রদর্শন করে। মানবাধিকার থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বর্তমানের ঘটনাবলী পর্যন্ত তাঁর বিভিন্ন বিষয় ইতিহাসকে বিস্তৃতভাবে জড়িয়ে ধরে। ডায়ালের কাজগুলি আমেরিকান যাদুঘরে ব্যাপকভাবে রাখা আছে; ডায়ালের দশটি কাজ 2014 সালে মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট দ্বারা সংরক্ষিত হয়েছিল।
জীবনী
থরন্টন ডায়াল ১৯2৮ সালে আলাবামার এমেলিতে পুরাণো সূতার বাগিচায় এক কিশোরী মা ম্যাটি বেলের (Mattie Bell) গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। যেখানে তাঁর বিস্তৃত পরিবারের সদস্যরা ভাগচাষী হিসাবে কাজ করতেন। তিনি তার মায়ের সাথে প্রায় তিন বছর বয়স অবদি ছিলেন তারপর ডায়াল এবং তার সৎ ভাই আর্থার তাদের দ্বিতীয় চাচাতো ভাই, বাডি জেক ডায়াল, যিনি কৃষক ছিলেন, তার কাছে চলে এসেছিলেন। থার্টন যখন বাডি জ্যাকের সাথে চলে আসেন, বাডি জেক যে ভাস্কর্যগুলি বাগান বা এখানে ওখানে নানা প্রান্তরে ছড়িয়ে থাকা পরিত্যক্ত জিনিস পাওয়া যেত তা দিয়ে বানাতেন,সেগুলি শিখেছিলেন, এবং বাডি জ্যাকের কাজ তাকে প্রভাবিত করেছিল । ডায়াল দারিদ্র্যে এবং তার পিতার উপস্থিতি ছাড়াই বেড়ে ওঠেন।
1940 সালে, যখন তিনি বারো বছর বয়সী , ডায়াল আলাবামার বেসিমারে (Bessemer, Alabama) চলে যান। তিনি যখন বেসিমারে পৌঁছেছিলেন, তখন তিনি লক্ষ্য করেছিলেন লোকের বাগিচা বা উঠোনের ধারে শিল্প ভাস্কর্য এবং সেগুলির নৈপুণ্যের স্তর দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন। ১৯৫১ সালে তিনি ক্লারা মে মুরোকে (Clara Mae Murrow) বিয়ে করেছিলেন। তাদের পাঁচটি সন্তান রয়েছে, যার মধ্যে একটি সেরিব্রাল প্যালসিতে মারা গিয়েছিল। প্রয়াত শিল্পী রোনাল্ড লকেট ছিলেন তার কাজিন বা তুতু ভাই। রোনাল্ডের প্রথম গুরু থর্নটন ডায়াল।
তাঁর প্রধান কর্মসংস্থান হয়েছিল আলাবামার বেসিমারের পুলম্যান স্ট্যান্ডার্ড প্ল্যান্টে (the Pullman Standard Plant in Bessemer) ধাতব কর্মী হিসাবে, যেখানে রেলপথের জন্য গাড়ি তৈরি হত। 1981 সালে এই উৎপাদন কেন্দ্রটি তার দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। পুলম্যান ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে ডায়াল তার নিজের আনন্দের জন্য নিজেকে শিল্পের কাছে উত্সর্গ করেন। তখন তার বয়েস ৫৩ এর উপর।
1987 সালে থর্টন ডায়াল লোনি হোলির Lonnie Holley সাথে সাক্ষাত করেছিলেন,লোনি (১৯৫০ এ জন্ম) থর্টনের চেয়ে অনেক ছোট বয়েসে। তিনি ডায়ালকে আটলান্টা সংগ্রাহক এবং শিল্প ইতিহাসবিদ উইলিয়াম আরনেটের (William Arnett) সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। আরনেট, যার শিল্প ইতিহাসের আগ্রহ আফ্রিকান-আমেরিকানদের দেশীয় শিল্প এবং শিল্পীদের উপর মনোনিবেশ করেছিল,তিনি ডায়ালের কাজকে জাতীয় খ্যাতিতে নিয়ে আসেন। এবং লোনি হোলি, জি-র বেন্ড কিল্টার এবং আরও অনেককে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নজরে নিয়ে এসেছেন। জেন ফন্ডার (Jane Fonda) সাথে আরনেট তার পুত্র পল এবং ম্যাটকে সাথে নিয়ে 1996 সালে একটি প্রকাশনা সংস্থাশুরু করেন। তিনি আফ্রিকার আমেরিকাবাসীদের শিল্প সংরক্ষণ ও ডকুমেন্টেশন করার একটি সংস্থা সোলস গ্রাউন ডিপ ফাউন্ডেশনের (the Souls Grown Deep Foundation) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এমেরিটাসও।
ডায়ালের কাজগুলি অবিরাম আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং বড় আকারের পর্যালোচনার প্রদর্শনীতে যেমন 2000 হুইটনি বায়ানিয়াল (Whitney Biennial) প্রদর্শিত ও চর্চিত হয়েছে । সময়ের সাথে সাথে, “কালোদের সম্পর্কে ইতিহাস, দাসত্ব, জাতিগত বৈষম্য, নগর ও গ্রামীন দারিদ্র্য, শিল্প বা পরিবেশের পতন এবং আধ্যাত্মিক পরিত্রাণ সম্পর্কে ধারণা” প্রকাশ করেছে, তাঁর শিল্পকর্মের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া প্রদর্শনের জন্য ডায়ালের কাজের প্রসঙ্গটি প্রসারিত হয়েছে। ২০১১ র পর থেকে ডায়ালের শিল্পকর্মর ভাষা এবং অনুশীলনের বদলেছে। সম্প্রতি নিউজের (ARTnews) অ্যালেক্স গ্রিনবার্গার (Alex Greenberger) বলেছেন: “থর্টন ডায়ালকে ‘বহিরাগত শিল্পী’, একজন ‘স্থানীয় শিল্পী’ এবং একজন ‘লোক শিল্পী’ হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে – কিন্তু এই অভিধাগুলি ভুল প্রয়োগ, যেহেতু বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গিতে এই চিত্রভাস্করশিল্পীর কাজ ধীরে ধীরে মূলধারার শিল্পে মিশেছে গত কয়েক বছরে ।
কাজ।
থরন্টন ডায়ালের কাজগুলি আমেরিকার সামাজিক রাজনৈতিক জরুরী অবস্থা নির্ভর করে রচিত যেমন,যুদ্ধ, বর্ণবাদ, গোঁড়ামি এবং গৃহহীনতা কেন্দ্র করে। তিনি প্রতিদিনের আমেরিকান জীবনের উপেক্ষিত এবং স্বল্প-বিবেচিত শিল্প নিদর্শনগুলি ব্যবহার করে তার পরিকল্পনাগুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করান। রঙ এবং প্রাপ্ত সামগ্রীর সংমিশ্রণে, ডায়াল বড়মাপের বস্তু সমাবেশের নির্মাণ করেন, বস্তুগুলি সাধারনত কুড়িয়ে পাওয়া, লোকের ফেলেদেওয়া মাঠঘাটে পড়ে থাকা, যেমন ,দড়ি থেকে শুরু করে হাড় থেকে বালতি পর্যন্ত । ব্ল্যাক ওয়াক (Black Walk) এবং দ্য ব্লাড অফ হার্ড টাইমসের (The Blood of Hard Times) মতো কাজগুলি উদাহরণস্বরূপ বলা যায়। সেখানে তিনি ঢেউ খেলানো টিন, ভাঙ্গা ধাতুর টুকরা,গ্রামীণ দক্ষিণের নিঃস্ব মানুষের এবং দেশীয় আর্কিটেকচারের কথা মনে করার জন্য] ডায়াল তাঁর বেশিরভাগ কাজ জুড়ে আমেরিকান গ্রামীণ দক্ষিণের ইতিহাসের তুলে আনেন।
বাঘের প্রতীকটি থরন্টন ডায়ালের শিল্পসম্ভারের একটি প্রাথমিক ভিজ্যুয়াল ট্রপও। শিল্পী এবং আফ্রিকান-আমেরিকান শিল্প ইতিহাসবিদ ডেভিড সি ড্রিস্কেল (David C. Driskell) ডায়ালের বাঘের প্রতীক ব্যবহার বেঁচে থাকার জন্য রূপক হিসাবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিক অধিকারের সংগ্রামের নিদর্শন হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন।

২০১১ সালে ডায়ালের কাজটি টাইম ম্যাগাজিনে একটি চার পৃষ্ঠার গল্পে প্রকাশিত হয়েছিল, যেখানে শিল্প ও স্থাপত্য সমালোচক রিচার্ড ল্যাকায়ো যুক্তি দিয়েছিলেন যে ডায়ালের কাজকে পায়রার খোপ ” বলে শিল্পের সংকীর্ণ জায়গায় বহিরাগত শিল্প” সংজ্ঞায়িত করা যাবেনা।
নিউইয়র্ক টাইমসের সংবাদদাতা ক্যারল কিনো (Carol Kino) বলেছেন, ডায়ালের “কাজের চেহারা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং স্পষ্ট বুদ্ধিজীবীর ছাপ;অনেক আধুনিক ও সমসাময়িক মাস্টারদের মত যেমন, জ্যাকসন পোলক এবং রবার্ট রাউশেনবার্গ থেকে শুরু করে জিন-মিশেল বাস্কিয়াত, তাদের সমতুল্য।
1993 সালে, ডায়ালের কাজের একটি বৃহৎ প্রদর্শনীর বুবস্থা হয়েছিল যা নিউ ইয়র্কের নিউ মিউজিয়াম অফ কনটেম্পোরারি আর্ট এবং আমেরিকান ফোক আর্ট মিউজিয়ামে একসাথে উপস্থাপিত হয়েছিল। 2000 সালে, শিল্পীর কাজ হুইটনি দ্বিবার্ষিক (Whitney Biennial)প্রদর্শনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এবং 2005-06 সালে Museum of Fine Arts, Houston কর্তৃপক্ষ “একবিংশ শতাব্দীতে থর্টন ডায়াল”(“Thornton Dial in the 21st Century”) শীর্ষক একটি বড় প্রদর্শনী উপস্থাপন করেন। ডায়ালের কাজগুলি অনেকগুলি উল্লেখযোগ্য সরকারী এবং বেসরকারী সংগ্রহগুলিতে পাওয়া যায়; he High Museum of Art, the Museum of Fine Arts, Houston; the American Folk Art Museum, New York; the Philadelphia Museum of Art; The Hirshhorn Museum and Sculpture Garden, Washington D.C.; the Smithsonian American Art Museum, Washington D.C.; and the Indianapolis Museum of Art.
আমি বিশ্বাস করি , পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাংলাতেও থরন্টন ডায়ালের মত অনেক প্রতিভা প্রকাশ পেত। দরকার শিল্পী ভাস্করদের মধ্যেকার ঐক্য ও সহযোগিতা। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, যা আমাদের বাংলাতে চোখে পড়েনা। আমার প্রতিবেশীকে সহযোগিতা করলে যদি সে দাড়াতে পারে, আমার সুনাম বই ক্ষতিতো নেই। যেভাবে লোনি হোলি বা আর্নেট বা অন্যরা ডায়ালকে সাহায্য করেছেন, একটা ভ্রাতৃত্বতা, শ্রদ্ধা ও ঐক্য প্রতিভাত হয়।
[এই লেখাটা ২০১৮ সালে লিখেছিলাম। ফেসবুকের পোস্টে ছিল। আর নতুন করে সময় পাল্টালামনা।]