ডুবে যেতে গেলে ঝাঁপ দেব বলিনি তোমায়
ওপাক রাস্তায় আঙুলে আঙুল ছুঁয়ে থেকেও
ডুবে গেছি আমি
হয় তো রাত্র নীল, মানুষেরা পেঁচার কবলে
যা কিছু নিকোনো ছিল, পথ, ঘাট, মাটির উঠোন
মৃদু মৃদু হাওয়া এসে মিঠে করে গেছে তার জল
পা ঝুলিয়ে তুমি, বসেছ সেখানে
দাওয়া, খুঁটি ছুঁয়ে আছে এক গাল
সদর দরজা বেয়ে যে সবুজ লাউডগা বাড়ে,
সেসব আমারই ছায়া, ইচ্ছা বা প্রতীতী মারফত
দেখে যেও, ছুঁয়ে যেও যদি,
ভুলে গেলে মনে পড়ে যাবে
এসবেই ডুবে থেকে মরে মরে গেছি আমি
আকাশ কোথাও নীল কোথাও বা কালো হাতছানি
ডেকে যেও, ডেকে গেছ তুমি
মিশে গেছি সেখানেই একবুক নীল নদী নিয়ে
আতর ছড়িয়ে আছে, গন্ধ বা যতটুকু ছিল
চলো ফিরে যাই সেই মিশে যাই ওপাক রাস্তায়
আঙুলে আঙুল ছুঁয়ে মিশে যাই রাতের শরীরে।
সব মরণ নয় সমান (৪)
মরে যেতে হবে।
কুহকের মতো এই গান
কানে বাজে বারে বার
মরে যেতে হবে।
রেল লাইনের রাস্তাটা আগে খোলা ক্রসিং-এর সামনে এসে থমকে থমকে যেত
আজকাল উড়ে যাওয়া ফ্লাইওভারেও কলাটা, মুলোটা নিয়ে বাজার বসে
আলু, বেতো শাক, কলমি, শরিফা, তালা, বেতালার বাজার
চলতে চলতে এক ফুঁয়ে উড়িয়ে দিয়ে বেরিয়ে যায় ধোঁয়ারা
রঙ বদলে বদলে যায় তাদের।
আগে নীল ছিল, কখনও বা ধূসর, মরুজীবি
দুদিনের বৃষ্টিতে রঙ মুছে গেছে আজ তার
তবুও বৃষ্টি ধুয়ে কানে বাজে
মরে যেতে হবে
দুহাত ছড়িয়ে দিয়ে বন্ধ চোখের পাতায় লিখে রাখা নাম
একবার তবু বোলো, বোলো, অথবা চুপচাপই রেখো
সব কথা বলে দিতে নেই
চুপচাপ দুহাত ছড়িয়ে দিয়ে আলো আলো সকালে
এভাবেই ভেবে নিও, মরে যেতে হবে।
অমরত্বের দাবীতে, কুয়াশারা মেখে থাকে আজকাল!