কবিতায় চিরন্তন ব্যানার্জি

সর্বরোগহর

এইবার বেঁচে গেলে খুব ছুটি নেব-
সেই পাখিটার খোঁজে যাব,
যার গলা জুড়ে খেলা করে
নীলকন্ঠী রং,
দু ডানায় রামধনু আঁকা।
সারাদিন জঙ্গলে ঘুরে
আমি যদি কালকেতু হই,
তুমি হোয়ো সোনার গোসাপ,
কে যে কাকে ফেলেছিল ফাঁদে-
শহরের ভীড়ে বোঝা রয়ে গেছে বাকি।
এইবার বেঁচে গেলে খালি ছুটি নেব
সমুদ্রের তীর ঘেঁষে জেলেদের বাস
নোনা গন্ধ, মাছ ধরা জাল-
চুপচাপ পাড়ে বসে দেখা
ঢেউ আসে, ঢেউ যায়, জীবনের মতো।
আমি যদি কথা নাই বলি,
তুমিও চুপটি করে থেকো
সমুদ্রের গর্জন,আমার বুকের শব্দ শুনো-
বুঝে নিও চোখে রেখে চোখ
শহরের কোলাহলে কত শব্দ ডুবে গেল জলে।
এইবার বেঁচে গেলে ঠিক ছুটি নেব
সেই যে কুয়াশা ঘেরা বাড়ি
যার পাশ দিয়ে যেতে যেতে
বলেছিলে, এখানেই থেকে গেলে হতো,
এইবার, ঠিক কিনে নেব।
ধোঁয়াওঠা গরম পেয়ালা
তুষের গরম ওম নিয়ে
হাতে হাত রেখে দেখি, পাহাড়ের বুকে
সূর্যের রঙ ছবি আঁকে-
শহরের ধোঁয়াশায়, সবকিছু কেবল ধূসর।
এইবার বেঁচে গেলে ফের কাজ কাজ
ভাত বাড়ো তাড়াতাড়ি, ট্রেন বাস ট্রাম,
সিগনালে থেমে থাকা সারি সারি গাড়ি
রক্তনিশান চোখ দেখে-
সাবধানে পার হই জীবনের পড়ে থাকা দিন।
তবু কোন সোমবার, হঠাৎ কামাই করে
পথঘাটে কারন ছাড়াই
হেঁটে যেতে যেতে তুলে নেবো
ধুলোর পলাশ, খোঁপায় লাগিয়ে দিলে
রাইকিশোরীর গাল লাল হয়ে যাবে।
সেই লালে শহরের সব রোগ সারে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।