“জাগো কৃষ্ণ মুরারি জাগো
হলো যে নিশিভোর গাহে শুকসারী”
ভোরের শিশির ভেজা ঘাসে
রাধা তার চিরকাকঙ্খিত কে আহ্বান জানায় যে রাগে সেই রাগ হয়তো সেই “ভৈরব”যার আরোহে কোমল ‘রে’ এবং কোমল ‘ধা’ কোনো এক আশ্চর্য মায়া সৃষ্টি করে সেই কাঙ্খিত কে আকর্ষণ করে।
যে রাগের বিহ্বলতা আপনা হতেই ভোরের আলোয় কোনো এক চিরপিপাসার আগুন জ্বালায়।রাগের গাম্ভীর্য ভাব বয়ে আনে দোসরের প্রতি এক অন্য প্রেমানুভূতি।
হৃদয় তার আলিঙ্গন চেয়ে কেঁপে ওঠে এই রাগে।
কোন অতল স্পর্শের টান?
একগুচ্ছ শিশির উপহার দিতে চেয়ে অনেকদূরে কোনো এক যমুনার ধারে এই ভৈরব জাগায় ব্যাথা ।
সূর্যের আলো পান করে রাতের অন্ধকার কে এক নিঃশ্বাসে । ভৈরব জাগায় আলোকমালা ।
তানপুরার চারটি তার খেলে ওঠে কন্ঠের এক অমল সুরে,
যেমন করে রাধিকা তীর আরাধ্য কে পেতে চেয়ে চোখের জলে অঞ্জলি দেয়, তেমনই যেন ভৈরব তার ভৈরবী কে পেতে চেয়ে তার কোমলতা কে হারিয়ে তার অঞ্জলি প্রদান করে।
ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের রাগের গভীর বিতানে এ এক প্রেমে পড়ার, এ এক সেই অজানা কে জানবার চিরায়ত আকাঙ্ক্ষা যা এই সকল রাগের মাধ্যমে কিছুটা হলেও যেন চরিতার্থতা পায়।
হে আমার মরণ তুমি যে শ্যামের সমান সেই বাণীই যেন এই সকল রাগ রাগিনী তাদের সুরে বলতে বলতে কিশোর কিশোরী হয়ে ওঠে।
রাগ ভৈরব যে গাওয়া হয় দিনারম্ভের সময় তা তো চির কিশোর আর কোনো এক আনমনা হৃদয়ে সকালের প্রথম আলোয় আশা জাগায়