• Uncategorized
  • 0

কবিতায় সত্যজিৎ রজক

কান্না জল –(পাঁচ )

অসংখ্য সমাধির এক কোনে ধুলো চাপা দিই আমার ধানসুখ ।
তবুও তোমাকে ভুলে যেতে পারিনি , মনে হয় তোমাকে ভুলে যাওয়া যায় না !
ভুলে যেতে হলে তো একটা প্রণামী সন্ধ্যার প্রয়োজন হয় প্রত্যেকটা মানুষের
ভালোই করেছো গভীর গুহার আঁধারের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে গেছো ,
বাজে ভেজা স্যাঁৎস্যাঁতে খাল ঢিবি’র নুনগন্ধ !
এবার ধান খৈ ছড়িয়ে পাখিদের ডেকে আনো জানালায় ,
তারা তোমাকে একটা আকাশ চেনাবে ।
আকাশ থেকেই সমুদ্র আর স্থলের এবং আলো আর অন্ধকারের
আসল পার্থক্য বোঝা যায় ।

কান্না জল –(ছয় )

চলো এই সন্ধ্যা বেলায় পুঁতে রাখি উঠোন ঘিরে নীরব স্বপ্নবীথির ঘাস ঘুম ।
অচেনা ঘোড়সওয়ার সামাল দিতে না পারলে বিলীন হয়ে যেতে পারে
সুদূর প্রেইরি অথবা পম্পাসের প্রান্তর , লাগামের স্বাধীনতা ঘোড়া বোঝে না ।
চলো নক্ষত্রফল কুড়িয়ে আনি , প্রতিশ্রুতিবদ্ধ গাছের তলা থেকে ,
তারপর জোছনাজলে ডুবিয়ে রাখি অনাবিল খৈ রঙের আনন্দ ।
সমুদ্র সৈকতে হেঁটে যাওয়া প্রেমিকাদের পায়ের ছাপ জন্মান্তর পেরিয়ে গেছে ,
তারাকি এখনও বোঝে ঘোড়ার খুরের সহধর্ম শব্দ !
নোনাজলে ক্ষয়ে যাওয়া দৈনন্দিন যুগান্তরের ছাপ
শুধু অপেক্ষাতেই মরে গেছে যারা চিরটাকাল , আজকের ঘোড়ার খুরের প্রজ্ঞানিকলিপি কি তারাই !
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।