“আমি ও রবীন্দ্রনাথ” বিশেষ সংখ্যায় সৌমিত্র চক্রবর্তী
by
·
Published
· Updated
রবিঠাকুর হে
কে যেন বলেছিল রবিঠাকুর আমাকে টানেনা
কারা যেন বলেছিল রবিঠাকুর আমাদের টানেনি কখনো,
কোনো এক বাড়িতে ছোট্ট মেয়েটা রবিগান শুনলেই
চিৎকার করে কেঁদে উঠতো, হিস্টিরিয়া তার মাথার চুল
ধরে ঝাঁকাতো সেই গান বন্ধ করার জন্যে,
এক ধারে মেয়েটার মা আর তার তাৎক্ষণিক বাবা
হেসে গড়াগড়ি খেত, বন্ধুদের কাছে মুখের ওপরে গোলাপী
আভা এনে সগর্বে বলতো, মেয়ে আমার ওয়েস্টার্ন –
মেয়ে আমার ওয়ান ডাইমেনশনাল, মেয়ে আমার টিন ফিট।
দূরের গ্যালাক্সির ভেতর থেকে ছুটে বেরিয়ে আসতো
লম্বা মুড়ো ঝাঁটার আকারের বিরল ধূমকেতু, তার শরীর থেকে ল্যাজ
পরিপূর্ণ গ্রহের গ্রহণকালের বিষাদস্মৃতিতে ভরপুর
খোলস ছাড়া অনাদি অতীতের স্যুভেনিয়র অসংযমী টুকরোর ঝুন্ড,
কয়েক লক্ষ কোটি আলোকবছরের দুরূহ রাস্তা অতিক্রম করে
সবুজ গ্রহের বুকে টুপ করে ঝরে পড়ত একফোঁটা চোখের জল।
কারা যেন উন্মত্ত থাকতো ড্রাগের সর্বব্যাপ্ত আগ্রাসনে;
রবিঠাকুরের রেখে যাওয়া অক্ষর ঠিক তখনই উত্তর মেরুতে
নীল সবুজ কমলার মায়াবী আলোয় তৈরি করতো অরোরা বেরিয়ালিস।