এক ফেসবুক বন্ধু বললো চুমু নিয়ে কবিতা লিখতে। এসবে নাকি আমি এক্সপার্ট। আমার কবিতায় নাকি অনেক সময় তার শরীর সাড়া দিয়েছে। হাসি পাচ্ছিলো। আমি কি চটি লিখি। ভাবলাম চটিই যদি লিখি তাহলেতো তরুণ-তরুণীর অনেক উপকার করছি, টাকা খরচ করে লুকিয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে ফিসফিস করে বলতে হবে না,’দাদা ওই বই আছে?’ ফেসবুক খুলে শাল্যদানীর প্রোফাইল খুললেই পাওয়া যাবে চটি কবিতার সম্ভার। তার পর আপনা হাত জগন্নাথ। হা হা হা।
এহেন অঙ্গার কামকলহ ছাড়া আর কি। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই নীল ছবিতে দেহ দেহ ব্যাডমিন্টন খেলার শুরু ওই চুমু দিয়েই। কেন? দর্শককে প্রস্তুত করা? না। অভিনয় নয় এমনটাও নয়। আসলে চুমু হল সমর্পণের প্রথম ধাপ। একে অপরের টেস্টকে চেখে নিয়ে মিলিয়ে দেওয়া অনন্ত মিশ্ররাগ স্যান্ডুইচ অনুভূতিতে। এবার তারা সাধনে বসবে। ঠোঁটেঠোঁটে আচমন করে দেহাসনে সাধক সাধিকা। এসব তত্ত্ব থাক।
অন্যভাবে অনন্য কিছু ভাবি। চুমু কেন খাই? ঠোঁট শব্দব্রহ্ম বাজাবার মাইক, ঠোঁট খাদ্যগ্রহনের প্রবেশদ্বার, ঠোঁট শরীরের অন্যতম নরম স্থান। এতগুলো যার কার্যকরণ সে কি আর যাতা হতে পারে? এই ধরুন আমার প্রেমিকার কথা, তাকেতো আমি হেব্বি ভালোবাসি। সে আমার কাছে বিশ্বনমনীয়া(ওরকম মনে হয়)। সেই নরম আদুরে মানুষটিকে ছুঁতে হাত যেন বড় বেমানান, আলতো ছোঁয়ায় ঠোঁটই ঠিকঠাক। চুমুই সেরা এক্ষেত্রে।
আকর্ষণের অপর নাম কিন্তু ঠোঁট বলাই যায়। একটা সেক্সি মেয়েকে দেখলে আমার চোখ যায় তার চোখে আর তারপরই ঠোঁটে। চোখাচোখি কিন্ত দেখতে গেলে একপ্রকার চুমুই। দৃষ্টি দিয়ে এ চোখ সে চোখকে চুখিয়ে(চুমিয়ে) নেয়। ঠোঁট দিয়ে আলাপিনী সে, এ ঠোঁট কেঁপে ওঠে। এগিয়ে যেতে চায়। উদুম ক্যালানির ভয়ে তা মনেই থাকে। যার মনে চুরি সে যদি চোর হয় তবে যার মনে চুমু সে?
যাকগে। চুমু নিয়ে চুমাচুমি চুমুখোর মনের কথা চুমুতেই তোলা থাক। আজকে চুমু খাওয়ার অফিসিয়াল দিন, সুতরাং চুমু খাওয়াটাই আসল আজ। আচ্ছা এদেশে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া নিষেধ, কি করে কিসডে সেলিব্রেট করবো? আজকের দিনের জন্য কি ইন্ডিয়ান পিনাল কোর্টে ছাড় বা কনসেশন আছে? কী জানি।
এবার শেষ করি, স্নানে যেতে হবে। অনেকে দেখলাম বাবাকে চুমু, মাকে চুমু, ভাইকে চুমু, দিদিকে চুমু, ঠাকুমা-ঠাকুরদাকে চুমু বলে দিনটি সেলিব্রেট করছে। ন্যাকামো। তারাও খুব ভালো করে জানে আজকে চুমুদিন মানে কি। অন্নপ্রাশন খেতে এসে শ্রাদ্ধের নিস্তব্ধতা মানায় কি?
ছোটদের জন্য হাম্পি। চুমু নয়। কেন নয়। বলবো না। বুঝে নিন। না বুঝলে ছেড়ে দিন
শাল্যদানী
পুনশ্চঃ ব্রাশ করে তবেই চুমু খান। ক্যাবেটি ছোঁয়াচে নয়, চুমুতে তা ছড়ায় না। সচেতনতা বজায় রাখুন