সুনির্মল বসু, অবসরপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার শিক্ষক। প্রকাশিত গ্রন্থ, শিকড়ে বৃষ্টির শব্দ ও ভালোবাসার কবিতামালা। দেশ বিদেশের বিভিন্ন পত্রিকার নিয়মিত লেখক।বাড়ি,বাটানগর।
বিদ্যাসাগর২০০/বিশেষ সংখ্যা
প্রসঙ্গ, বিদ্যাসাগর।
তিনি বীর সিংহের সিংহ শিশু, পন্ডিত ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর। পিতা, ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও জননী ভগবতী দেবী। আজীবন দারিদ্যের সাথে লড়াই করে হিমালয় সম ব্যক্তিত্বে পরিনত হয়েছেন।বহু বিবাহ প্রথা রদ, বিধবা বিবাহ প্রচলন তাঁর জীবনের অন্যতম কীর্তি। তিনি কোনো মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন নি, একাধিক গ্রন্থের অনুবাদ করেছেন
। বর্নপরিচয় লিখে তিনি
মানুষের নিরক্ষরতা দূর করেছেন। তিনি ছিলেন সুশিক্ষিত ও অতিশয় মানবিক দৃষ্টি ভঙ্গি সম্পন্ন মানুষ। মানুষের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গীকৃত হয়েছিল।
একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করি।
তখন তাঁর দেশ জোড়া নাম, তিনি মেদিনীপুর যাচ্ছেন,তাকে দেখার জন্য পথে ভীড়।এক বৃদ্ধা তাকে দেখার জন্য পথের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন।
তিনি আগন্তুকদের মধ্যে বিদ্যাসাগর কোনদিন, জানতে চাইলেন, একজন বললেন,ঐ যে কালোপনা। বৃদ্ধা বিদ্যাসাগরকে বললেন,বাবা,আমি আপনার বর্ন পরিচয় পড়েছি,আর কিছু পড়ি নি।
বিদ্যাসাগর বললেন, মানুষ হবার জন্য ওটুকুই যথেষ্ট, পন্ডিত হবার জন্য মোটা মোটা ব ই পড়তে হয়।
তাঁর জীবন শিক্ষার যথার্থ আলো,যে আলোয় মানুষের মনের অন্ধকার দূর হয়ে যায়।