• Uncategorized
  • 0

কবিতায় রাণা রায়চৌধুরী

স্রোতের বসন

এই রাত্রির ভিতর ভেঙে আছে

আদিম বালিশের ওয়ার।

ঘড়ির নিকটে এক সর্পিল

সমাধি, আর্তনাদে কেঁপে কেঁপে ওঠে।

ঘাসেদের চলাচলের সরু পথে আকুতি

রয়েছে জেনে তবু এই বিষ

অনন্তকাল বেজেছে গ্রহ ও নক্ষত্রে।

এসেছিল, মনে আছে পূর্বদিক হতে

পূর্ণতার অমোঘ বিষাদে, সাম্প্রতিক

জানালা ভেদে চরাচরে শিকারীর ক্ষুব্ধ

গঠন গেছে ভেঙে ওই ওই অরণ্যের

মোমবাতি শিখা। মাটি খুঁড়ে দেহ খুঁড়ে

শাখায় শাখায় আজ তরঙ্গের উড়ান।

এই ভালোবাসা মোর গোপন রইল

ঈশানে নৈঋতে, হাওয়া এলে বলো তাকে

তীরে বাঁধা আছে বিরহের

সব অঙ্গীকার ও স্রোতের বসন।

সমুদ্রের বসন

যে কোনো কাজের মেয়ের প্রতি আমার

দুর্বলতা অনেক কালের। আহা খারাপ

ভাবে নাও কেন? এওতো সুন্দরের

আরাধনা। এও তো পূজা, এও তো ফুলের

ফুটে ওঠা। এও তো ইস্টবেঙ্গল গোল

করতে পারছে না, গোল করতে পারছে

না, টেনশন! কাজের মেয়েদের মুখরা

অভিমানকে আমার গঙ্গার স্রোত মনে হয়,

মনে হয় দূরগামী জাহাজের বাঁশি। উহারা

উপার্জনের উড়োজাহাজে আমাদের জন্য

অক্টোবরের অন্ধকার বয়ে নিয়ে আসে।

সেই অন্ধকারে রয়েছে গান আর ফুঁপিয়ে

কান্না আর সুড়ঙ্গের ভিতরের গোপন

বিদ্রোহ … একে তুমি সুর দাও, তাচ্ছিল্য

দিও না। দিও না তালাবন্ধ সমুদ্রের

নিঃশ্বাস …

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।