সুদূর অদৃশ্য হল গাছের ছায়ায়
কী বা সেই স্তনচূড়া
কী বা কার কণ্ঠনালী !
পাহাড়ের দিক থেকে বিকেলের স্তব ভেসে আসে।
গোধূলি-বিষাদ !
পাতাদের গ্রাম ভেঙে শব্দহীন ভোর নামে জানলায় জানলায়…
তুমি ওই আলতা-ছাপ এখনও দেখোনি !
তুমি কেন দেখোনি এখনও ?
ঘুঙুর বাজিয়ে তোলা পায়ে ।
তোমার না-দেখা থেকে আশীর্বাদী ধান হয়ে ঝ’রে পড়ে
সমস্ত নীরব
কবন্ধ
খাও দীর্ঘশ্বাস খাও সকালের উজান ঠেলা বাতাস, খাও গান। সংসারে মিলিয়ে রয়েছ যে কবন্ধ-ভূত,
তোমার অলস হৃদয় বিছিয়ে খাও দুটি মায়া-চোখ। দেখে যাও কেমন ক’রে ফিনকি দিয়ে সুর ওঠে,
ওগো, সুর রক্তবমি ভেদ ক’রে কিংবা ভোরের চায়ের বাটিতে দেখো চেয়ে ফ্যানা ফ্যানা, দেখো কী গম্ভীর
গবেষণা ঠেলে সে ওঠে দেখো বাথরুম ঝাঁট দিতে দিতে উঠে আসছে উঠে আসছে ফুল সাজাতে সাজাতে উঠে আসছে এই তো সংসারের এ-পাতা ও-পাতায়। ও কবন্ধ-বাতাস তুমি এসে একটি বার ছুঁয়ে যাও তাকে।