• Uncategorized
  • 0

কবিতায় কল্পর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়

কল্পর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাণীবিদ্যার স্নাতক ও পরে ট্রেনিং ও ডেভলপমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করে বর্তমানে কর্পোরেটে কর্মরত । লেখালিখির শুরু একদম ৯ এর প্রথম দিনগুলোতে ।মূলত বিজল্পতেই অজস্র কবিতা ছাপা হয়েছে কল্পর্ষির, লিখেছে কবিতা পাক্ষিক, সংক্রমণ ,মুহূর্ত, ঋতভাষ এবং আরো অনেক ৯ দশকের কাগজে ,এছাড়াও ও লিখেছে দেশ ,মনোরমা পত্রিকায় । অনুবাদ করেছে কল্পর্ষি,,কিছু ইংরিজি লেখাও ওর ছাপাও হয়েছে ভারতীয় ইংরিজি ভাষার কবি জয়ন্ত মহাপাত্র নির্বাচিত সানডে টেলিগ্রাফ এবং আরো অন্যান্য কাগজে । প্রকাশিত কবিতা গ্রন্থিকা তিনটি - তথ্যচিত্র ( ১৯৯৬) , ব্যথা নিরোধক চাঁদ ( ২০০০) এবং যে গান শোনেনা কেউ ( ২০০১৭ ) । প্রথম থেকেই খুব অল্প লেখে কল্পর্ষি ।

শিরোনামহীন লেখা

শিরোনামহীন যা কিছু লিখেছি আমি দাহপত্রে
প্রত্যায়িত  চিঠির নকলে ,দেখি আজ বৃথা যায়
বন্দরের স্থির প্রশ্নে
নাবিক আহত জাগে ,ব্যথার জাহাজ যায়
নিরুত্তর প্রেমিক দেবতা
তোমার চোখের কাছে আমার প্রয়াসগুলি
নুয়ে থাকে
সাম্প্রতিক হতাশায় বাদুড়ের মতো ,যেন চেষ্টা
আন্তরিক
সিগারেট ধরানোর, একা হয়ে যাওয়া সন্ধ্যার বিষে
কালবোশেখির ঝোড়ো হাওয়া লেগে ,বাতি নিভে গেলে
লোকহিতার্থে প্রার্থনা করি ,ঝড় থেমে যাক ।

টানাবারান্দায় মোমবাতি জ্বলে ,ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাই
অসুখ অসুখ

সকলে বোঝেনা,কেউ কেউ বোঝে
হাওয়া ভারী হয়, নোঙ্গর তলিয়ে যায়
জলের গভীরে। সূর্যের আহ্নিক গতি
নদীটির স্পর্শে এসে থামে ।

দৃশ্যগুলি জরদগব,আলো ছাড়া
অনুভূতি ছাড়া, হৃদয়ের
কোনোরূপ প্রেরণা ছাড়াই
অভিনীত হতে থাকে বার বার
তোমার চোখের থেকে দূরে
স্নায়বিক তন্তুজাল ছিঁড়ে ।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।