জীবন চক্র
আমার ছোটবেলা ধান শীষে দোলা লেগে ঝরে পড়া ধানের দু একটা আলগোছে তুলে নেওয়া হেমন্তের শিশির ভেজা ছোট্ট পায়ের মাড়িয়ে যাওয়া সবুজ ঘাসের বিনম্র সহানুভূতির শিরশিরে ঠান্ডা হাওয়ায় উড়িয়ে ছিলো যৌবন-
মেঠো পথ কাঁচা রাস্তার অলিগলি দিয়ে বয়ে চলে নয়ানজুলি,
তিরতিরে জলে ছোট মাছের ঝাঁক উজনের দিকে অস্থির আনাগোনা।
আমার যৌবন বেলা এলোমেলো চুলে প্রহর গোনে নকসি কাঁথার
রাত জাগা প্রদীপের নিষ্প্রাণ দেহ , তেল চুঁইয়ে ভিজে যায় মাটি
সব মানে ফিকে হয়ে গেলে
বার্ধক্য শুষে নেয় আয়ু
পাকা ধানের সোনালি আভা জীবন চক্র খোঁজে অঙ্কুরোদগমে ।
পূর্ণতা
আমার ছিলো একাকিত্ব্যের ভয়, শূন্যতায় তুমি এলে প্রতিটি বর্ষায় ।
সাঙ্গ জীবন আগলে রেখে সাঁকো হয়ে গেলে
জল ছবিতেই প্রাণ দিয়েই প্রতিষ্ঠিত হলে।
ঠোঁটের ফাঁকে সন্ধে নামে কুয়াশায় ভরা বুক
পাখির ডানায় ঝাপটা দিয়ে ফিরিয়ে দিলে সুখ।
আমায় দিলে মুক্তো আকাশ মুক্তো স্বাধীনতা ভিড়ের মাঝে আগলে রেখো স্নিগ্ধ নীরবতা।
আমার উঠোন একলা মেয়ে পানকৌড়ি চোখ
খুঁজছে বিকেল সারাটা দিন শুধুই তোমার হোক।
ঘুমের ভেতর ঘুম পাড়ানি জানলা খোলা রাত
স্পর্শ আবেগ প্রতিষ্ঠা হোক
তোমার চির সাথ।