• Uncategorized
  • 0

এইসময়ের লেখায় রতন বসাক রতন বসাক

মরার আগে মরে যাওয়া ( আতঙ্কে ) একদমই উচিত নয়

আমরা সবাই জানি যে এই জগতে একবার জন্ম নিলে তাকে মরতেই হবে । বলতে গেলে বলা যায় যে মরাটাই হলো আমাদের ডেস্টিনেশন । আমাদের বয়স বাড়ে না, এক এক দিন করে কমতে থাকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য । তাই যেটা নিশ্চিত সেটার ভয় আমাদের বেঁচে থাকাটা একদমই উচিত নয় ।
এটাও ঠিক কথা যে এই মৃত্যু ভয়ই কিন্তু আমাদের ভালো করে বাঁচতে শেখায় । ভয় মানুষকে আরো ভালো ভাবে বাঁচার জন্য প্রেরণা দেয় । আমরা যদি নির্ভয়ে থাকতাম, তাহলে হয়তো আমরা কোনো কিছুই আবিষ্কার করতাম না । অন্যান্য জীবদের মতোই বেঁচে থাকতাম এই জগতে । ভয় আর প্রয়োজনীয়তার জন্যই মানুষ এই জগতে সব থেকে উন্নত প্রাণী ।
বর্তমানে সারা বিশ্ব এক ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলেছে । যদিও একমাত্র মানুষ ছাড়া আর অন্য কোন জীব এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে আসছে না । তাই মনে হচ্ছে মানব জাতির অস্তিত্ব এই জগতে সংকটের মুখে । হয়তো মানুষকে আরও একবার ভালো করে চিন্তা-ভাবনা করার জন্যই প্রকৃতির এই রোশ । আমরা প্রত্যেকেই প্রচন্ড স্বার্থবাদী হয়ে উঠেছি । নিজের ভালো ছাড়া অন্য কারোরই ভালোর কথা চিন্তা করিনা । এতে অন্য কারো যতোই ক্ষতি হোক না কেনো ।
যাইহোক আমাদের মরার আগে কিন্তু ( আতঙ্কে ) মরে যাওয়া উচিত নয় একদমই । আমাদের বাঁচার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে । যতো কঠিন পরিস্থিতিই হোক না কেনো, ভেঙে পড়লে চলবে না । এগিয়ে যেতেই হবে মনের জোরে । শরীরের থেকে মনের জোরটাই সবচেয়ে বড় কথা । বর্তমানে আমরা দেখছি যে, করোনা নামক এক ভাইরাস যাকে খালি চোখেও দেখা যায় না ; তার ক্ষমতা কতো বিশাল সারা বিশ্ব জুড়ে !
ভেবে দেখুন আমাদের মহান ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকর মহাশয় তার বাবা তখন মারা গিয়েছিলেন যখন তিনি মাঠে ব্যাট করছিলেন । কিছুদিন আগে দেখেছিলাম যে একজন সংবাদ পাঠিকা যখন সংবাদ পড়ছিলেন তখন তিনি সংবাদ পাঠের শেষে ছবি দেখেই বুঝতে পারেন যে সেই এক্সিডেন্টে তার স্বামী মারা গেছেন । এটাও দেখেছি যে, মহান পরিচালক ও অভিনেতা রাজ কাপুর মহাশয় তাঁর মেরা নাম জোকার ছবিতে । একজন জোকার তার মা মারা যায়, এটা জানার পরেও সে অভিনয় করে গেছেন দর্শকদের হাসানোর জন্য ।
এমন আরও অনেক ঘটনা আছে এই বিশ্বে তাঁর থেকে এটাই প্রমাণ হয় যে ; যতই কঠিন পরিস্থিতি আসুক না কেনো কারো জীবনে, তাকে ভয় পেয়ে থেমে গেলে চলবে না । বর্তমানে এই কঠিন পরিস্থিতির কথা ভেবে কিছু সাহিত্য গ্রুপ ও লেখক ফেসবুকে তারা লেখা বন্ধ করে দিয়েছেন । এটা আমার ব্যক্তিগত মত যে, এটা তারা ঠিক করছেন না । কেননা বর্তমানের এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমাদের সবাইকে ঘরে থাকতে হবে । অযথা ভয় পেয়ে মানসিক ভাবে দুর্বল হওয়াটা ঠিক নয় ।
তাই এই আতঙ্কে ভয় না পেয়ে লেখা জারি থাকা উচিত । লিখে যান মন খুলে এটাই যে আপনার ভিতরের শক্তি । এতে নিজের মনটা ভালো থাকবে ও মনের জোর বাড়বে আর আপনার লেখা পড়ে আরো অনেক জানকারি পাবে বিশ্বের পাঠক । বর্তমানে করোনা ভাইরাস আক্রমণের যুদ্ধে আমরা যে যার অবদান ক্ষমতা মতো রাখব, এটাই ঠিক নয় কি ? কে বলতে পারে আপনার লেখনীর মাধ্যমে এক নতুন আলোর দিশা পাওয়া যেতে পারে ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।