গতবছর ২০১৯-র জানুয়ারির শেষ দিকে কোলকাতা বইমেলায় আলাপ হয়েছিলো, মাসুদের সঙ্গে। না,তখন সিনেমা নিয়ে আলোচনার সুযোগ আমার হয়নি। গতকালই জানলাম মাসুদ তিনবছর ধরে একটা স্বপ্ননির্মান করে চলেছে। আজ সে নিজে সেই স্বপ্নের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আহ্বান জানাচ্ছে লক্ষ-লক্ষ কোটি-কোটি দর্শকদের। তার তিনবছরের একটি লড়াই, অসংখ্য বিনিদ্র রজনী পার হয়ে আসছে একটি স্বপ্নের ভোর। হ্যাঁ, এবছরই ২০১৯-র ২ নভেম্বর, মানে আজই বাংলাদেশের বিকেল ৩টায় মানে ভারতের আড়াইটায় মাসুদ পথিক নির্মিত চলচ্চিত্রটির প্রথম একটি ‘টিজার’ প্রদর্শন শুরু হচ্ছে। মাত্র ১ মিনিট ২১ সেকেন্ডের এই টিজারটি নিয়ে দুই বাংলা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
সিনেমাটির নাম, ‘মায়া- দ্য লস্ট মাদার’।
আগামী ২০ নভেম্বর ছবিটির ট্রেলার রিলিজ হবে। আর সিনেমার গানগুলি ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হবে সিনেমার নিজস্ব পেজ থেকে। আপাতত ঠিক হয়েছে ডিসেম্বরের কোনো এক শুক্রবারে সিনেমাটি হলে আসবে। দিনক্ষণ একটি অনুষ্ঠানে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে মাসুদ পথিক জানিয়েছেন।
কবি কামাল চৌধুরীর ‘যুদ্ধশিশু’ কবিতা ও শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের চিত্র ‘ওমেন’ অবলম্বনে সিনেমাটির চিত্রনাট্য নির্মাণ ও পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা মাসুদ পথিক। অভিনয়ে আছেন, ভারতের মুমতাজ সরকার, জ্যোতিকা জ্যোতি, দেবাশীষ কায়সার, ঝুনা চৌধুরী, সৈয়দ হাসান ইমাম, নারগিস আক্তার, ড.শাহদাত হোসেন নিপু,মজিদ, আসলাম সানি প্রমুখ। সংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন, ইমন চৌধুরী, বেলাল খান, কুনাল, ঐশী, পুজা ও মমতাজ।
মাসুদের প্রথম সিনেমা ‘নেকাব্বরের মহাপ্রায়াণ’। এটি তার দ্বিতীয় পূর্ণ দৈর্ঘ্যের সিনেমা। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে, ব্রাত্য ক্রিয়েশন। মাসুদ জানালেন, যুদ্ধশিশু ও বীরাঙ্গনাদের নিয়ে এই প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের সিনেমা তৈরি হলো বাংলাদেশে। তার আস্থা ও বিশ্বাস, ‘মায়া-দ্য লাস্ট মাদার’ সিনেমায় এক নতুন বাংলা ও বাংলা মা-কে পাওয়া যাবে।
অভিনন্দন ও শুভকামনা জানাই মাসুদ নির্মিত এই চলচ্চিত্রটির জন্য। অপেক্ষায় থাকলাম । আশা রইল সিনেমাটি দর্শক প্রশংসাধন্য হবে।