শার্দূল সমাজপতি কবিতা লেখেন বহুদিন।আড্ডা হয় মাঝে মাঝে।দু পাত্তর চড়িয়ে নিলেই বাঘ হয়ে যান তিনি।গড়গড় করে কবিতা আসে।সেদিন লিখলেন…..
“অতীত লবনের মতো,
জীবনের ইঞ্জিনে দিয়ে দু চামচ শর্করা,
পিঠে নিয়ে ভদকার বোতল,
আমি হয়ে যাই ডাক হরকরা।”
এহেন শার্দূল সমাজপতির কবিতা খুব বেশী লোক পড়েন এমন নয়,আবৃত্তিকারেরাও আবৃত্তি করেন না খুব একটা।দারুণ গোঁসা হয়েছে তার।নিজেকে কখনো বিষ্ণু দে,কখনও সুধীন্দ্রনাথ দত্ত ভাবেন।
গত সপ্তাহে সাংবাদিক এসেছিলো তাঁর কাছে,ইন্টারভিউ নিতে।রবীন্দ্রসদন চত্বর।তিনি বসে,পাশে সাংবাদিক।দূর থেকে বেশ কয়েকজন আবৃত্তিশিল্পী যাচ্ছেন।শার্দূল বাবু চেঁচিয়ে তাদের কাছে ডাকলেন।নতুন কবিতা লিখেছেন,শোনালেন তাঁদের।
“এই যে যাচ্ছো রাস্তা দিয়ে দুলিয়ে ইয়ে,
কার্জন পার্কে হাত দেখতো জ্যোতিষ টিয়ে,
আজ নয় কাল,হবেই হবে তোমার বিয়ে,
আমার কবিতা আবৃত্তি কোরো স্টেজে গিয়ে।”
এই লেখা শুনে সেই আবৃত্তিকারের দল দে ছুট,দে ছুট।
শার্দূল সমাজপতির রাগ হলো সাংঘাতিক।পাশে বসে থাকা সাংবাদিককে বলে বসলেন….
আমড়া যেমন ফল নয়,
কামরাঙা যেমন লালচে নয়,
তেঁতুলবিছেতে টক নেই,
জলপাইয়ে জল নেই,
তেমন ভাবেই আবৃত্তি কখনো শিল্প নয়।
শার্দূল সমাজপতি আজকাল বিখ্যাত হইয়াছেন।নন্দীগ্রামের শহীদের মা,সিঙ্গুরের চাষি,মরিচঝাপির জেলে যাঁরা কখনো তার নাম শোনেন নাই,তারাও আজকাল তার নাম জানেন।