দৈনিক ধারাবাহিক গুলজারের কবিতা – অনুবাদে অর্ঘ্য দত্ত (পর্ব – ১২)

(ভূমিকা – অর্ঘ্যর সৌভাগ্য হয়েছিল কিছুদিন গুলজারের সান্নিধ্যে থেকে তাঁকে একটি অনুবাদে সাহায্য করার। গুলজারের দীর্ঘ সাক্ষাৎকারও নিয়েছেন একটি নিউজ পোর্টালের জন্য। তাঁর কবিতা বাংলায় অনুবাদের ইচ্ছা প্রকাশ করাতে তিনি অর্ঘ্যর হাতে নিজে তুলে দিয়েছিলেন তাঁর কবিতার সংকলন, ‘রাত পশমীনে কী’। সেই সংকলন থেকেই এখানে এক ডজন নির্বাচিত কবিতার অনুবাদ।
অর্ঘ্য চেষ্টা করেছেন যতটা সম্ভব মূলানুগ থাকতে। গুলজার নিজে যেখানে প্রচলিত ইংরাজি শব্দ ব্যবহার করেছেন, অনুবাদেও তা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এমনকি কবিতার পংক্তি বিভাজন, পংক্তির দৈর্ঘ্য ও যতিচিহ্নও রাখা হয়েছে মূলানুসারী। অর্থাৎ, বইয়ের পাতায় ছাপা কবিতাটির ভিস্যুয়াল যেন একই থাকে সেদিকেও মনোযোগ দিয়েছেন অর্ঘ্য। কবিতা বেছে নেওয়ার সময় খেয়াল করেছেন যাতে গুলজারের কবিতার বিষয় বৈচিত্র্যটি ধরা পড়ে।
– মুখ্য সম্পাদক)
রেপ
এমন তো কিছুই ছিল না, যা হামেশা সিনেমায় দেখায়!
না ছিল বৃষ্টি, না ঝোড়ো হাওয়া, না জঙ্গলের
কোনো মোহিনী দৃশ্য,
আকাশেও ছিল না কোনো মায়াবিনী চাঁদ যা উন্মাদ করে তুলবে।
না কোনো ঝর্ণা, না নদীর উথলে ওঠা
যৌবন তরঙ্গ
আবহে ছিল না এমন কোনও গান
যা অনুভূতিকে কামনায় আচ্ছন্ন করবে
না ওই ভেজা বৃষ্টিতে ছিল কোনো উচ্ছল যুবতী
কেবল নারী, এই ছিল তার কমজোরি
চারটে পুরুষ, শুধু পুরুষ ছিল বলে
দেওয়ালের পেছনে ওকে রেপ করল!!
এই ধারাবাহিকটি এখানেই শেষ হল।
অনেকেই একসঙ্গে শ্রদ্ধেয় কবি ও গীতিকার গুলজার – এর কবিতাগুলির এই অনুবাদ একসঙ্গে পড়তে চেয়েছেন, তাদের জানাই আমরা কোনো এক রবিবার এই বারোটি কবিতা একসঙ্গে প্রকাশ করবো। পাঠক,প্রিয় পাঠক সঙ্গে থাকুন।
ভজন দত্ত
মুখ্য সম্পাদক
টেকটাচ টক