চিহ্ন জুড়ে আছে এইখানে , হাওয়া বয় ভাঙামন জোড়ার আশার , এই নদী গাছ কথা সকলেই কথা বলে কান পেতে শুনি ।এই আমাদের দেখা সেও কথা বলে এই না দেখা সেও বলে ওঠে কত দৃশ্যগান ।জীবন বন্ধন সেই কাজুরোদ মেখে বাদামের ভোর জলে নিভে গেছে আলো ।সুতো নয় দড়ি নয় একটি ভালোবাসার কোনো রং নেই পথ বন্ধন একার ।চিহ্ন যদি দেশজাতি হয় মানুষ বন্ধন তার অনুভবে ।পিঁপড়ের ডিম বর্ষ চেনে পথ চেনে আমরা দেখেছি নুন আর চিনি পুতুলের হাসি কত সোহাগের জাদুমন্ত্র ।ঘোড়া ও বলদ নিয়ে চাষ করলেও জমি ত ফসল দেয় ।স্বরগ্রাম শুধু —–শখ বা খেয়াল নয় ।বন্ধন যদি ও হয় জাহাজের গায়ে লাগানো ডিঙি নৌকো ।
উঠোন
যদি পাশে থাকো এই ঘর হয় উঠোনের ঝুনঝুন শব্দ পটে থামা কিশোরীর উষ্ণতায় বজ্র আলো হাতে প্রেম হিমগিরি ছোঁয় ।পুষ্পলতাতৃণে বৃষ্টি পড়ে দিকে দিকে প্রান্তরের পথে যেন অভিমানী মেঘ দক্ষিণের কালো বিলে স্নান করে !
আমাদের মা বাবা দুপাশে হাঁটে ।যেন কথা বলে মৃত ভাই দাদা বন্ধু ! চোখ রেখে বসো পৃথিবীর কোলে বেলা গেল খেতের দুপাশে আমি এই উঠোনের মাতৃ অরণ্যের আলো — পথ চেয়ে আছি ঘর যদি উঠোনের কাশছায়া আমি তবে তৃঙ্গ হিমগিরি ।চেয়ে দেখি অঙ্কুরের জন্ম হয় হাওয়ায় ফসলের স্বপ্ন বুনি দু আঁটি আউশ ধানে আমি মৃত্তিকার মা; ঠান্ডামেঘে উপেক্ষিত দেহ ।