নব্বই দশকের প্রথমার্ধ থেকে লেখালিখি শুরু। প্রকাশিত কবিতার বইগুলি--
পরিণামহীন, শিরীনামহীন
নাচে জন্ম নাচে মৃত্যু
ম্যাটিনিতে রূপকথা টকীজে
বুবুর সঙ্গে দ্রাক্ষাবনে
লেখো অশ্রু, লেখো
মাধুরীর সঙ্গে নাই কেউ
এবং সদ্য প্রকাশিত 'বকুল ডালের আঙুল'
এবং একটি গল্প সংকলন 'মাধবী বাগান'
প্রশমন
প্রশমিত হয়ে আসছে। ভাবনাই আধার মাত্র। টের পাই, বহুদূরে কোথাও একটা ঠাণ্ডা হাওয়া বয়ে চলেছে।খুব ধীর এই বয়ে চলা তার। বহুদূর, তাই স্পর্শ নেই তার। স্পর্শের অভ্যেস চ্ছিন্ন করে শুধু বয়ে চলার এই সংবাদটুকু আছে। প্রচণ্ড গ্রীষ্মের ভেতর এইটুকু শীতলতা। সে কি পথের উপর হেঁটে যায়? শান্ত ছায়া রয়েছে কোথাও? ছায়া উপেক্ষা করে এই বয়ে চলার ভেতর এক শান্ত দাহ সে জ্বালিয়ে রেখেছে। পথের শেষে একা স্নানঘর তার নিঃস্ব জল নিয়ে অপেক্ষায়। তাকে সেইদিকে যেতে দিলাম। স্তব্ধতা এক প্রশমন। ধীর বয়ে চলা, এক প্রশমন। বহুদূরে আমি কোথাও যাব না আর, গ্রীষ্মের শীতলতা ছেড়ে…
বিধুরতা
অপেক্ষার একটা রঙ আছে। একটা বিধুর , ধুসর গেরুয়া রঙ। যেন বহুদূরে আবছা একটা অবয়ব ফুটে উঠবে এবার।তার ফুটে ওঠার আগের রঙ। তাকে আমি চিনি, তার মুখ বিধুর, তার আগমন ধুসর গেরুয়া। বহুকাল পথে পথে ঘুরে তার রাজ্যপাট মলিন হয়েছে। তার চিরবাস ছিঁড়ে পড়ছে হাওয়ার টানে। তার কথা ভাবা এক অপেক্ষা। অপেক্ষা ক্রমশ লালমাটির পথের দিকে বেঁকে যায়। যেদিকে পান-শিউলি নামের গ্রাম। গ্রামের ওপারে মহাযুদ্ধের ভাঙা এরোড্রম, বনকুলের ঝোপের থেকে একলা তক্ষক ডাকে। এই অনিশ্চিত, বস্তুত এক জীবন অতিক্রান্ত অভ্যেস। তার গেরুয়া ক্রমশ আরো ধুসরের দিকে মুছে যাচ্ছে ভেবে কল্পনায় রঙীন হয়ে ওঠে। এই হল সেই বিপরীত সঙ্গম, সেই নিশ্চিন্দি, বিধুরতার ভেতর জেগে উঠলেন।