একটা সাঁকোর ছবি আঁকবো,ভাববো নদীর মা অসুস্থ তাই এই ছবি আঁকতে বসছি। হয় আফসোস নয় নীতিকথা শুনিয়েছিলেন কোন এক ঋষিকাল মহান। কী হয় এমন সব সাঁকো ছবি! একে অপরের হাত, ওইযে দূরে থাকা খুব খুশি হতাম নিষাদ ছলাকলা বহুলোকপূর্ণ সমাকুল ব্যাধি। সাঁকো ধরেই ধরুন এখন আপনার হাত। এরপর হাতকে হাত ধরে হেঁটে গেলো একটা লালসালু চরিত্র অথবা তার ছায়া অপেক্ষাকৃত বিষন্ন ভগ্নহৃদয় আয়ের আয়নায় জল মুছে নিয়ে। দেখে কেউ নেই কোথাও নেই এইসব ফাঁকা সাঁকো। এখন টুপটাপ পতনের বাজিগর, রাজা ভীত দিশাহীন। মলয়পবন কিছু কিছু শব্দ নেই। নেই খুব ভালো এই বেশ বীজক, তুলির স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ…
২| রাতের ট্রেন ও লোক প্রশাসন
ওই ভয়! শুনশান নীরবতা অন্তিম চোখ তুই বসে থাক
দেখ উড়ে আয় জুড়ে আয় শালিখ ঠোঁট- লাল গোলাপ
বিষন্ন দুপুরের ছায়া মার, কে কি কয় তোর বাপ বিলাপ
ঝি ঝিকঝিক উঠে পর, দেখ শরীরের কলা বিগতশোক
এখন দেখছি একদল শাদা প্রজাপতি আলোর মুখোশ ওইযে নিলাম হয় ডানা নাড়ানোর ক্ষমতা ও পরশীর পেশী শক্তি নিয়োগে মহান বিচারকের আসন। এই দেখতে দেখতেই চলে যায় আমাদের এক দীর্ঘ বিপন্ন জীবন। আর হামাগুড়ি দিয়ে পড়ে কিছু শুয়োরের বাচ্চারা হোয়াইট ওয়াটার ট্রিপের জন্য। তারা তাদের জন্য একটা সুদূর অতীত পরাজয় বয়ে নিয়ে যায় আর মানুষ ঠকায়। আচ্ছা তোরা দু’টো জড়োপাসক উপসালয়ে যা আর দেখ কারা খেয়ে নেয় উটের দুধ। লোকে বলে রাতের ট্রেন ও লোক প্রশাসন এখন একটু নড়ে-চড়ে বসুক কি হয় এমন একটু চিন্তা!
৩| ডেটিং
আদর শুয়ে পড়ো ডান বাম কখনো উপুড়
অনুভূতি হও ব্যাথা নাও পাও
দিগবিদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাও- কথা
দেখো খুব করে সুখ আদর কি-হয় এইসব
ভুলে বসো কবিতা, ভুলে গেছিলাম হয়তো!
বসে থাকো উঠোন জুড়ে রঙ্গিন কাপড়
ফাঁকে দোয়েলের চোখ উঁকি দিয়ে দেখে নিক
বেসামাল শরীর নিকটে আমাদের সম্পর্ক
ওয়াশরুমে চলে যাক ক্লান্ত হওয়ার কারণ
শাদা কালো দাগ গুলো লুকিয়ে রেখো
আয়নাগুলো ভেঙ্গে ফেলো, কেউ না দেখুক
আর হ্যা শুনো ভাঙ্গা কাঁচে পা ফেলো খুব ধীরে
আমি চলে যাচ্ছি কি এমন ভাবো তুমি!
হয়তো আবার দেখা হবে এই সময় ঋষি ধ্যানে
ততোক্ষণ ভালো থেকো রেখো ভালোবেসো…