কবিতায় স্বর্ণযুগে উজান উপাধ্যায়

৫ টি ভুল

১|
পাঁচ জন্ম কেটে গেল। সাত জন্ম হেঁটে হেঁটে। মৃত্যু হলো সাতে পাঁচে, নক্ষত্র আর যতিচিহ্নে ঝলসেছে সংসার। এখানে পাথরের পরিপাটি, চুলচেরা বিচারের জলসা বসিয়ে রাখা, ডুবে গেছে আলোকিয় নৃত্যনাট্যের শ্রমিক অন্ধকার।
২|
শূন্যে তোমার মৃতদেহ, অসীমে আঁতুড়ঘর।
৩|
জল থেকে জীবাশ্ম – সকলেই বন্ধু আমার। বাদলদার দোকানের পাশে একটা শাদা আলো জ্বলে থাকে শীতের আদরে মুমূর্ষু হরিণীর ঠোঁটে জেগে থাকা ক্ষণজন্মা ভিজে ল্যাম্পপোস্ট থেকে।
৪|
এই যে লিমিটেড ভার্সানের নন এডিটেড লাইফ স্প্যান-
এখানে যা কিছু ভালোবাসা আর ফসল উপভোগের অধিকার – সবটুকু মহাবিশ্বের টোটাল সাম এশিওরড থেকে আমিটাকে বিয়োগ করে অবশিষ্ট সকলের জন্য।
আর যদি কিছু ধ্বংস আর নষ্ট করে ফেলার, নিঃস্বতা অর্জনের অঙ্গীকার-
সে শুধু আমার।
৫|
তবুও পৃথিবীতে
শত্রু
আর
মিত্র
দুটি পক্ষ থাকে।
ভাতের লবনের আর মাতৃজঠরের এত দেউলিয়া ভাঁড়ার-
মানুষের মাথা থেকে আজও যুদ্ধ গেলনা।
মৃত্যু
না ভয়
না পরমাত্মার যোগাযোগ-
কিছুই শেখালোনা।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।