কবিতায় উপমন্যু মুখার্জী

দিকশূন্যপুর
বসে আছি একা
শান্ত কোনও রাতের স্টেশন আমি চিনি
এলোমেলো চিন্তারা
ধুলো উড়িয়ে চলে যাচ্ছে
চলন্ত ট্রেনের সাথে
হয়তো যেখানে আমার ডেসটিনি।
ভাবছি বসে একা
কোথায় আমি যাবো
কোথায় গেলে আমি
শান্তিটুকু পাবো।
যেখানে নেই হানাহানি
নেই কোনও রেষারেষি
সেখানে মানুষ হয়না পর,
সেখানে বানাবো ঘর।
ঐ বট গাছটা যদি বাড়ি হয়
আকাশ হবে ছাদ,
চারদিক নিরিবিলি
সামনে শান্ত পাহাড়।
আসবে নেমে সাদা ঝর্ণা
থাকবে একটা নদী
জলকল্লোল ধ্বনিতে মিশে যাবে
মানুষের হাহাকার।
কোন্ স্টেশনে নামতে হবে
এমন জায়গা পেতে
একটু গ্রাম্য একটু বন্য
পাবো কি খুঁজে পেতে?
বলতে পারো খুঁজবো কোথায়
যেথা মানুষ একটু অন্য।
ভাবতে ভাবতে ফাঁকা হচ্ছে স্টেশন
শান্ত কোলাহল কমছে যাতায়াত,
মৃদু দখিনা হাওয়ার কথা স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে এখন
সাক্ষী শুধু আমি আর নিরপরাধ একটি রাত।
মুহুর্তরা পেরিয়ে যায়
সময় এখন দোল খাচ্ছে অন্ধকারের কোলে,
ভাবনাকে এবার দিলাম ছুটি
এখন উঠতে হবে
শেষ ট্রেনে যেতে হবে বলে।