আমার একটা ঈশ্বর চাই-
যার কাছে জমা রাখবো
গ্রামের একটা সবুজ জলছবি।
ঘুঙুরের তাল কেটে রং নিয়ে
মিশিয়ে দেবো প্রেমময় ঝর্ণায়,
কিংবা নদীর কিনারে দ্বার খোলা
রমণীর ব্যথাতুর বুক থেকে নেমে আসা ছায়াপথ।
আমার একটা ঈশ্বর চাই
তার কাছে বন্ধক রাখবো শিল্প আর শিল্পীর পারস্পরিক শত্রুতা।
হয়তো বা বুদ্ধের কপাল খসা বেলপাতাও।
ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেয়া দিন রাতের অশান্তির ঝুলি।
আমি শুধু একটা ঈশ্বর চাই
যার কাছে একটা বার্তা জমা রাখতে চাই
আমার শুন্য জন্মস্থান আর
সেই অন্ধকার রহস্যের মানচিত্র।
তবু বলতে চেয়েছি যেটুকু
ইতিহাস পড়িনি সেভাবে
শুধু তার পথ ধরে হেঁটে যাওয়া
আর
ফেলে আসা প্রেমিকের পায়ের ছাপ কুড়িয়েছি।
গভীর রাতে হায়নার ডাকে সে ভীষণ দ্বন্দ্ব
বুক ফেটে চিৎকার করে
আর বলে আমি সেই প্রেমিক,
যার লাবণ্য আর অপেক্ষা করেনা
অভিসারের জ্যোৎস্নায়।
আমি ইতিহাস পড়িনি সেভাবে
তাও মাঝরাতে একা থাকা প্রেমিকার কষ্টে
সঙ্গ দিয়েছি
তার চোখের উপর চোখ রেখে মেপেছি
কান্নার জলের ফোঁটা আর বৃষ্টির মধ্যে ফারাক কোথায়!!
আমি এখনও ইতিহাস সেভাবে পড়ে উঠিনি
কারণ ,
যে পথে হাঁটছি আজ
যে কথায় বাঁচছি রোজ,
কাল সেগুলোই ইতিহাসে নাম লেখাবে।