কবিতার স্বর্ণযুগে তাপস মহাপাত্র (গুচ্ছ)

আগুন লেগেছে
ডি ভ্রিস চমকে দিয়েছিলেন
কে ভেবেছিল,
এমন ভাবে তিনি ডারউইনকে দৌড় করাবেন !
যেভাবে লালগোলাপ সাদা হয়ে যায়
সেভাবেই কি ফর্সা হয়ে যেতে পারে
ভালোবাসার জৌলুশ ?
ডি ভ্রিস মানেই গুম হয়ে থাকা
ডি ভ্রিস মানেই দুরন্ত ম্যাজিক
প্রকৃতির বাইরে তো কেউ নয়,
এমন এক যাদুগরের সামনে
কে আর খাপ খুলতে পারে বলো !
যতই বলো-
কালীঘাট নয়, নিউ মার্কেট
অ্যাক্রোপলিস নয়, মিলেনিয়াম
তবু সব সন্ধ্যার গায়ে সেই একই কাপড়,
উজ্জ্বলতা আর বিবর্ণতার মাঝখানে যেন মসৃণ অস্পষ্টতা।
আজ আমাকে চমকাতে গিয়ে তুমিই ফুরালে তোমার সকল নিষ্ঠা।
উলঙ্গ ঘ্রাণ
নিভে যাওয়া উনুনের পাশে
যে ভাবে লেগে থাকে রান্নার ঘ্রাণ, সেরকমই
শ্রাবণের গায়ে লেগে থাকে মেঘের বিছানা,
ভাবনা ছুঁয়ে থাকে কত কত আজব ঋতুকাল।
শীতলতা আছে বলে আজও জীবিত
ফেলে আসা কথা।
ঘিরে থাকে অনাথ ছত্রাক
যেন বাসি বাসি জীবনে হেলাফেলা ভালোবাসা।
কখনো কী দেখেছো এসব !
রাত এলে অন্ধত্ব দিয়ে যায় কে
কারই বা সময় অত,
আর্দ্রতার জাল থেকে তুলে নেবে
ফুটফুটে জ্যোৎস্না-শাবক !
যতই ধারালো হোক প্রফুল্ল তেজ,
মাটির গন্ধের কাছে সে বড়ো অবোধ কারিগর।
দেখতে দেখতে এসব অবশেষে ফেরার সময় অন্ধকার পেরোতে হয়।