অণুগল্পে তাপস কুমার দে

সূর্যোদয়ের শব্দ
বৃষ্টি বাজানো শূন্যতায় নির্জন তীর ছুড়ে দেয় দূর পথ। পুড়ে যায় তৃষ্ণার্ত বুক, বনের সবুজ, জোয়ারভাটার অতৃপ্ত সাতার। ভাত রঙ ভাসে পচা কাদায় ডুবে থাকা চোখ। জোনাকিরা জ্বলে ওঠে ; পাখা ছিঁড়ে বেরিয়ে পড়ে পাঁজরভাঙা হাহাকার। আরক্ত জানালা ধরে বেয়ে ওঠে নূপুরের সুর। অন্তরনীল হায়নার চোখে বসে মৃত ফুলের আকাশী প্রেম। উত্তাপ ছড়িয়ে আগুন সজ্জিত ঘোর কাটে, ওম ছড়ায় মানুষ খুন করা মৌসুমে। কাঙ্ক্ষিত শীত রক্তে ডাক দিয়ে আসে, বুকজুড়ে দেয়াল আঁকা সুদীর্ঘ কালচে শহরে। আর ঘুম ভাঙা দেযালে আচানক প্রবেশ করে মৃত্যুর আস্ফালন। চারিদিকে শ্মশান ধূপের ধূসর গন্ধ। ফসলের আয়ুহীন রোদ, বিরাণ মাঠে ঝরে পড়া উপবাসের যন্ত্রণায় ভেঙে পড়ে দিগন্ত। পতাকার রঙে ঘুরপাক খাচ্ছে ঘুর্ণি। বাগানের চিৎকার কড়া রোদ পড়েছিল, ধ্বংসের ছেঁড়া পাতার পাহাড় স্তুপ। লাশের গায়ে অদ্ভুত এক চর, ভুগর্ভ ফেটে নদীর যাপনে কাঁপন ধরায়। হেসে ওঠে ঘুর্ণিমত্তের আকাশে বিছানো বিছানা। রক্তের হুল্লোড় ছিল। ভেঙে দিয়েছিল সূর্যোদয়ের শব্দ।