ক্যাফে কাব্যে টগর

অসম নিবেদন

ঝিল্লিলগনের অঙ্কনখড়ি কুঠুরিগর্ভের
লালচে আঁধারশিখায় বলে চলা প্রণয়ের
অস্থায়ীপদের তুচ্ছতম দিন ছিল বুঝি সেদিন‌।
হৃদকোষ জানা বিস্মৃতের বিপরীতমুখী
পথচলার ছন্দে ছন্দে ঝাঁকড় মেলেছে
চিরনূতন নবপল্লবের বৃক্ষটি।
বৃক্ষ বরাবর দাওয়া নিকানোর ছুতোয়
ছিটবেড়ার ফাঁকে আমি অবসরে আড়ি পেতেছি ঠায়

দেখেছি ছোপ ছোপ পুঞ্জীভূত জামরঙা মেঘশোক
নিষিদ্ধনিক্বণ তুলে ছুঁয়েছে একলা পৃথিবীকে।
এবং নিরুপায় শুষ্ক বালিয়াড়ির কড় গুনে গুনে বৃষ্টিস্মরণের আদলে
এক পৃথিবী চুপিসাড়ে জানিয়ে গেছে গহীনে জমাটি অস্ফুট স্বরমালা।।

অতঃপর এমত রটনা শোনা যায়
পৃথিবী ভিজল আষ্টেপৃষ্ঠে। ভিজল ঠাওরাতীত, ভিজল আদিগন্ত।
অথচ বিরহসন্ধের ঘাসডগার ফড়িংনর্তকীর বেশী
আকাশকে ফেরানো হয়ে উঠলোনা তেমন কিছু।
নিদেনপক্ষে যেটুকু আয়ুশেষের কপালে আকাশ
ঝরাপাতার প্রদীপবিহীন দাওয়াকে শোনাতে পারে নিভৃতে।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।