রমেশ, শাবনম কে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে সিঁদূর পড়িয়ে সোজা নিজের মায়ের কাছে।
মা যথারীতি মেনে নেতে পারেন নি।
অনেক অশান্তির পর,মা এক শর্তে মেনে নিলেন,শবনম কে পুরোপুরি বাঙালি হিন্দুর মতো শাঁখা পলা সিঁদূর নিয়েই থাকতে হবে,হিজাব ছাড়তে হবে, তার বদলে ঘোমটা দিয়ে পায়ে আলতা পড়ে সতী বউটি হয়ে থাকতে হবে।
পুরোহিতকে বাড়িতে ডেকে শুদ্ধাচার করে সূর্য্যপুজো দিয়ে নতুন বৌমার নামকরন হলো শিবানী।
এবার দূর্গা পুজোর আগেই ঈদ,পাশের পাড়ায় ঈদের মেলা,শিবানী যাওয়ার জন্য তৈরী হতেই শাশুড়ি বাধা দিলেন।
শিবানীর যাওয়া হলো না,ভেবেছিল মায়ের সাথে একবার দেখা করবে,ওর মায়ের জন্যে খুব মন কেমন করে!
কিন্তু শাশুড়ির কড়া হুকুম ও বাড়ির সাথে সম্পর্ক রাখা যাবে না।
ঈদের দিন শবনমের মা পাড়ার এক হিন্দু ছেলে কে,দিয়ে একটি বাক্সে করে কি যেন পাঠিয়েছেন,রমেশের মা হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে সোজা ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দিলেন।
রমেশ বল্ল মা তুমি একবার দেখতে ত পাড়তে! উনি কি পাঠিয়েছেন।
দেখার কি আছে? আমি জানি কি পাঠিয়েছে।
ডাস্টবিন থেকে বাক্সটি খোলার পর যা বের হলো তা দেখে রমেশের মায়ের চক্ষু ছানাবড়া!
বাক্স ভর্তি জবাফুল,আর ৫ টা ফল।সেদিন ছিল মঙ্গলবার,মা- য়ের ফল হারিনী অমাবস্যার পুজো।।