মার্গে অনন্য সম্মান শ্রী স্বদেশ সাধক সরকার (সেরার সেরা)

অনন্য সৃষ্টি সাহিত্য পরিবার

সাপ্তাহিক প্রতিযোগিতা পর্ব – ৭০
বিষয় – চোরাবালি

আলোআধাঁরি

দক্ষিণা বাতাস যখন বয় তখন
হৃদয়ের মাঝে কত অনুরণনের সুমিষ্ট ঝংকার,
যেন মনে হয়,আহা,এমন টা যদি চিরকাল
অনুসঙ্গ হয়ে জীবনের জয়গানে চিরন্তন
স্রোতোস্বিনী নদী প্রবাহের তরঙ্গমালার মত
সফেদ ফেনিল অনুপ্রাণিত করত তবে না
জানি কি পরম সুখের মনন আজীবন
চিরশান্তির অমোঘ কাননে পরিস্ফুটিত
ফুলের সৌরভের ন্যায় বিকশিত হয়ে কি আরামে না থাকতে পারত।
এমন চিন্তা চেতনা যে না হয়,তা না~কিন্তু
চাওয়া পাওয়ার মাঝে কত আলো আধাঁরির
খেলা চলে পার্থিব জগতে যা কল্পনার মাঝে
থেকেও কেমন যেন অবচেতন মনে প্রলেপ
হয়ে থেকে যায় যা হঠাৎ একদিন চোরাবালির
কথা মনে পড়ায় ~।
আসলে “চোরাবালি ”~ সে তো দিব্যদর্শনের
বস্তু নয়। সে এক অলীক না হয়েও অলীক।
গ্রাম বাংলায় নদ-নদী নিয়ে যাদের ঘরবাড়ি
তারা এ কথার প্রতি সম্যক পরিচিত শুধু
নয়,সে পরিচিতি তাদের স্বজন-পরিজনের
কাছে এক উপদেশমূলক উদাহরণ যা
এককালের নদীপথে যাতয়াতকারীদের
পক্ষে ছিল আর্শীবাদস্বরূপ।
আজ হয়ত সে আর তত প্রাঞ্জল বা প্রাসঙ্গিক
নয় কারণ নদীবাঁধ বা সেতুনির্মাণপূর্বক সে
চোরাবালির কথা অনেক গুরুত্ব হারিয়েছে
কিন্তু তবু ও “চোরাবালি ” ,তার ফঐতিহ্য
পরম্পরায় স্বকীয় মর্যাদায় আজও সে তার
স্হানে বেশ সুপ্রতিষ্ঠিত ।
যেমন দক্ষিণা মলয় বাতাস বসন্তের সমারোহে
ফাল্গুন বিকশিত পলাশ শিমুল তার রঙের
আলাপে জীবনকে নতুন পথে স্বপ্ন দেখায়
ঠিক তারপর বৈশাখের দাবদাহে বিবর্ণ ,
ধূসর,মলিন অবক্ষয়ি জীবনকে তুলে ধরে
ঠিক তেমনি নদীর স্রোতে হাঁটতে হাঁটতে পা
রেখে যে পদচারণা তা ঠিকই চলে কিন্তু
অনন্ত জলরাশির সেই পথে হঠাৎ চোরাবালি
কখন পা পড়ে যায় যে সে জীবন বিপন্ন হয়ে
দাঁড়ায়~এমন কি সাথে কেউ থাকলে তার
দায় দায়িত্ব মাথায় নিয়ে সে বাঁচাতে গেলে
তার পথ ও অনেক সময় পথের কাঁটা
হয়ে পড়ে। এই হল চোরাবালি যা চোখ
থাকতেও কানা হয়ে যায়। অর্থাৎ চোরিবালি
নিরপত্তার চরম বিপদজনক এক উপকরণ
যা মুহুর্তে সব বদলে দেয় ।
জীবনে এ রকম চোরাবালি হরবকত দেখতে
পাওয়া যায় যা গতির গতিময়তাকে রুদ্ধ
করে,বিশ্বাসী আস্হাভাজন পরম হিতৈষী
কখন যে চোরাবালিতে পরিনত হয় যা
জেনেও জানা যায় না ~এরা সুঁচ হয়ে থেকে
ফাল হয়ে বেরোয়।
সমাজ এখন এক চোরাবালির স্রোতে
নিমজ্জিত ~সে স্রোতে চলছে সবাই,আসলে
চলাই তো জীবন,না চললেই থেমে যায় গতি,
আর এই গতির মাঝেই চোরাবালি বর্তমান ।
তাই চোরাবালি তুমি কোন চুরি কর নি কিন্তু
চুরির চরম উৎকর্ষতায় তুমি অনন্য পথিক্ৎ
হয়ে সমাজকে সতর্ক করে বলতে চাও
যে আলোআঁধারি পথে বিপদ সমাসীন
যেমন চোরাবালি র ঠেক ঠিকানা নদীবাঁধের
লোকেরা আগাম দেয় তুমিও তেমনি বর্তমান
থেকে সমাজকে বল~ভাই আমি আছি,থাকব
কিন্তু এ আলোআঁধারি গোলকধাঁধা হতে
সাবধান হওয়ার স্বজন-পরিজনকে চেনার
দায়িত্ব তোমাকেই নিতে হবে নতুবা
চুরাবালিতে পড়লে পা -অতল তলে তলিয়ে
যা,ভবের খেলায় খেলা শেষে রেফারির
হুইসেলে অফসাইড ,ফাউল যায় না চেনা~
হলুদ কার্ড,লাল কার্ড আরবেরোবে না~
এমনই এ বালি চিকন হয়েও ঘোর
কলি !

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।