T3 || শ্যামা আমার || দীপাঞ্জলী সংখ্যায় সুব্রত সরকার

ইলিশা
তেজু যাব বলে শেয়ার গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি। আরও কয়েকজন রয়েছে আমার পাশে। ওরা হবে আমার সহযাত্রী। সবাই অরুণাচলের নানান উপজাতির মানুষ।
একদম কাছে দাঁড়িয়ে থাকা অল্প বয়সী মেয়েটির কাছে জানতে চাইলাম, গাড়ি কি টাইমে আসে?
কাভি কাভি লেট হোতা।
তুমি কোথায় যাবে?
তেজুুসে এক স্টপেজ আগে- গ্যাস গোডাউন।
তুমি কি স্টুডেন্ট? ইয়োর নেম?
ইয়েস। আমি ইলেভেনে পড়ছি। আমার নাম ইলিশা সিনডিক।
তুমি কোন কাস্টে বিলং করো?
আমি তাগিন আছি।
এখানে দেখলাম ইদু মিশমি বেশি আছে।
ইয়েস ইউ আর রাইট।
তোমার এরপর তো কলেজ। এখানে কলেজ আছে?
আছে একটা। বাট আমি ইটানগরে চলে যাব।
ও!.. তুমি কি পড়বে?
ল নিয়ে পড়ব।
ল’ ইয়ার হবে? প্র্যাকটিশ করবে!.. খুব ভালো।
ইয়েস আই ওয়ান্ট টু বি এ ল’ইয়ার।
কেন?
লেড়কি লোক কো সাথ বহুত ইনজাস্টিস হোতা হ্যায়। আমি মেয়েদের হয়ে লড়ব কোর্টে।…
গাড়ি এসে গেছে। আজ লেট করে নি। একে একে সবাই উঠে বসলাম।
ইলিশা আমার একটা সিট আগে জানালার ধারে বসেছে।
গাড়ি ছুটতে শুরু করেছে। সকালের নরম রোদ জানালার কাচ ভেদ করে ইলিশার চোখে মুখে পড়েছে। কি উজ্জ্বল দেখাচ্ছে ওকে।
ছোট্ট মেয়েটা নিজের বিশ্বাসে কেমন জেদি হয়ে গেছে। আর হয়তো কয়েকটা বছর সময় লাগবে আমাদের আদালতে ইলিশাকে পূর্ণ রূপে পেতে।
জয় হোক ইলিশার।
আমি মুসাফির। আজ তেজু যাব। কাল চলে যাব ওয়ালং। ভারতবর্ষটাকে এভাবে দেখা ও চেনার জন্যই তো এই সব সফর।…
এই সফর বুড়ি ছোঁয়া