T3 || বাণী অর্চনা || বিশেষ সংখ্যায় সুলতা পাত্র

এসেছে শীত

রাত ঘুমোলো চাঁদের সামিআনায়, পথ ঘুমলো পরম সুখে,
চাঁদ ঘুমোলো সাগর জলের তলায়, তারারা দূর নীলিমার বুকে।
শীতের পোশাক পরনে, তবুও সর্দি কাশি ভুলেছে নাওয়া খাওয়া,
সকাল থেকে রাতে কেবল বইছে, কাঁপন ধরানো হিমেল হাওয়া।
হঠাৎ বৃষ্টি গুঁড়ি গুঁড়ি, ঠান্ডার প্রকোপ দেয় সুড়সুড়ি,
নৈশ আহার সত্বর সেরে ঘুমিয়ে ছিলাম, গায়ে দিয়ে লেপ মুড়ি।
ভোরের আলো ফোটার আগে, পদ্ম পাতায় শিশিরের ভালোবাসা,
দেখে মনে হয় যেন মিটেছে তার অন্তরের সব আশা।
ভোরের আকাশে অরুন আলোয়, গাইছে কত রকম পাখি,
রংবেরঙের ফুলে ফুলে, ভরছে বৃক্ষ যত্নে শাখি।
গোলাপ, ডালিয়া, গাঁদা, মল্ল্লিকারা শীতের পরশ মেখে,
সোহাগ ভরে ভ্রমর আসে তাদের দরাজ বুকে।
রসের তরে খেজুর গাছের কাঁটা বুকে, ঝুলছে হাড়ি, আকাশে নেই কালো মেঘের ভেলা,

নলের গুড়ের পিঠে, পায়েস, আর চড়ুইভাতি হচ্ছে নবান্নে।
চাষিরা সব ধান কাটার শেষে, সরষে, কলাই, মুগ দিয়েছে মাঠে ছড়িয়ে,
টাকা পয়সা এসেছে হাতে, ছেলে মেয়ের বিয়ে দেবে আছে তারা উদ্বেলিত মন নিয়ে।
নীল আকাশে ভুবন মোহিনী রূপ,চোখ যায় যতদূর,
আকাশে নেই মেঘের ভেলা, চারদিকে মিষ্টি রোদ্দুর।
সুখের মাঝেও শীত দুঃখের খবর দেয় যে এনে,
কাঁপছে যে বুক ঝরছে পাতা, আমলকির ওই বনে বনে।
জনম দুঃখী দরিদ্ররা আগুন পোহায় পথের ধারে, ঠকঠকিয়ে কাঁপছে দাঁত, অর্ধনগ্ন কলেবরে।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।