গুচ্ছ কবিতায় শম্পা সামন্ত

পাহাড়ের ফুল
শীতের পাতাঝরারা নেমে এসেছে নিচে, পাদদেশে, কুল্লুর উপত্যকায়।
থির মানছেনা উচ্ছল উত্তুঙ্গ জনবাস।
এ পরবাসে ঘাতক সৈন্যের মত প্রেম আসে ইগলুর ভিতর।
এই সেই বরফ সুন্দরী কাঞ্চনকন্যার উদবেল শরীর।
এই দেখ আলো নেমে আসছে কালো চুলে। শলমা জড়ির কারুকাজ।
নিচে নিচে পাহাড়ের উপর ফুটে ওঠা ফুল।
মদ্য চায়? ফুল চায়?
পাহাড় ভাঙা ঢেউ চায়?
উদ্দামতা?
এই দেখ গোটা ভারত বর্ষ জুড়ে নাগিনী নৃত্যের মরসুম।
এই শীত জুড়ে কাল বেলা নেমে আসছে দেখ।
মহড়ায় পাগল পুরুষ।
আর হাড়িয়া ঢেলে দেওয়া ফুটে ওঠা পাহাড়ের ফুল।
এই আগুন জ্বলে উঠল কোথাও।
ভয় হয়। ভয় হয় ভীষণ!!
জল ছেটাই।
শীতল হ
শীতল হ।
পাহাড়ের পাদদেশে বরফ আসুক।
২) তুমি আগুন ছুঁতে যদি
তুমি আগুন ছুঁতে যদি!!
, আমার অঙ্গার পোড়া কাঠের শরীর।
অথচ জানান দিলেনা এক জ্বলন্ত বিসুভিয়াসের গলিত লাভায় কর বাস।
লাভা গলিত হয়ে নেমে আসলে পুড়ে যায় গর্ভদেশ, পুড়ে যায় ঘর গেরস্থালি।
কারা যেন শৈশবের ঘুম কেড়ে নেয়।
কাদের লোভ প্রতিশোধে পুড়ে ছারখার।
তারপর পুড়ে যাওয়ার সময় আছে?.
বাষ্প আছে,।আছে অনন্ত সময় ও অতলান্ত স্পৃহা।
তাতে শেষ হয় অসমাপ্ত প্রণয়।
কথা দিয়ে কথা রেখো এবারকার মত।
বলো, যদি পুড়েই যেতে চেয়েছিলে,
তবু যাবার আগে আমার
মতামত প্রয়োজন ছিল কী??
৩) শান্তি ছড়ানো পথ
যে আতস বাতির রোশনাই ছড়ানো ছিল, রাজার জন্য, তিনি সেপথে এলেন না।
যেপথের দুধারে তাম্রপত্রে সাজানো ছিল আসন্ন উপাচার,
রাজা সেই সম্মান মুহূর্তে বর্জন করলেন।
অথচ জয়ডঙ্ক অনিমেষ বেজেই চলেছে।
পতাকা উড্ডীন,কিংবা বিলোল প্রেম।
নীল নীল গ্যালাক্সির মধ্যে সাজানো বারুদের ঘ্রাণ দলমাদল কামান
কার্তুজের সম্ভার।
এই ঘন অন্ধকারের রাজপুরীতে সাজানো ভেরী।
দূরে ঘণ্টাধ্বনি থেমে নেই।
যেমন নিষেধ মানছেনা ভোরের কোকিল, কিংবা চিল ছাতারের ব্যাস্তময়তায়।
এতদিন যত সুখ ছিল স্মৃতির ভিতর।
বৃত্তে আজ ঢুকে পড়ছে বেদনাহয়ে,মৃত্যুরূপ।
ভোর হতে কতকাল বাকি?