কবিতায় সন্দীপ সাহু

আসিফা ও ডলি

আসিফা, ছোট্টো আসিফা
শুধু কাঠুয়ার শিব মন্দিরে নয়,
আজ কালীয়াগঞ্জের ঝোপেও নিথর।
ডলি, আসিফার ধারাবাহিক নিরবিচ্ছিন্নতার আরেক নাম।

আসিফাকে অসহায় ভাবে
পাথরের চোখে মহাদেব দেখে ছিলেন।
কালীয়াগঞ্জের ঝোপে কোনো ভগবান থাকেন না।
চর্মচোখে দেখে ছিল কোনো বাবা।

সেই দৃশ্য ঘুরেছে আরো অনেক বাবার চোখে।
আসিফার বাবা, ডলির বাবা তারাও।
নেতা মন্ত্রীরা বোধহয় কারুর বাবা বা মা হয় না!
তাদের সান্ত্রীরাও ডলিকে গরু ছাগল ভেবেছে!

আসিফা ডলিদের সহজেই চরিত্রহীনা বলা যায়!
কাপুরুষদের কোনো দোষ তাদের চোখে পড়ে না!
আসলে কাপুরুষরাই তো রাজনীতির সোনা-ছেলে।
তাদের চুরি করা ভোটেই নেতা মন্ত্রী হয়।

আসিফা ডলিদের ভেট হিসেবে না দিতে পারলে
“লাল চুল কানে দুল” সোনা-ছেলেরা থাকবে কেন!
কালীয়াগঞ্জে সমস্ত বাবারা “বেঁধে বেঁধে” থেকে
মশাল জ্বেলেছে। আইন তুলে নিয়েছে হাতে।

থানা পুড়ছে। মশালে মশাল জ্বলছে দিকে দিকে।
দেখতে পাচ্ছি নেতা মন্ত্রীদের ঘর জতুগৃহ হয়ে উঠছে।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।