“জানতাম ওই অলক্ষ্মী মেয়েছেলের এ কম্মো নয়।বচ্ছরকার দিন,সাইৎ করে দুধ উথলাতে দিলাম,কিচ্ছুতেই হলোনা গো! এ বছর কি হবে কে জানে?” শাশুড়ি বিপদাশঙ্কায় কাঁটা, শ্বশুর চুপ।
রোহিনী,অশোকের সঙ্গে পালিয়ে বৌ হয়ে আসা ইস্তক বিনতাদেবীর চক্ষুশূল।সুচিন্তন বাবু সম্পর্কটা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে করে ফেল!
এ বছর রোহিনীর প্রথম পয়লা বৈশাখ এ বাড়িতে। পরম্পরা অনুয়ায়ী বাড়ির বৌ তুলসী তলায় মাটির উনুনে দুধ জ্বাল দেয়।উথলে পড়লে তা পরিবারের জন্য ভবিষ্যৎ সৌভাগ্য বয়ে আনে এই বিশ্বাস।
বিনতা বুদ্ধি করে একটু কম করে দুধ দিয়েছিল! পরিকল্পনা মত দুধ উথলায়ও নি।ব্যস,বাছা বাছা বিশেষণ ছুটে যায় বৌমার উদ্দেশ্যে।
পরদিনই একটা অফিসিয়াল খাম এলো রোহিনীর নামে।যে ইন্টারভিউ দিয়ে এসেছিল তাতে ওর স্কুলের চাকরিটা হয়ে গেছে।
ঝুমঝুমি মাকে উদ্দেশ্য করে চেঁচায়,”মা তোমার দুধ না উথলালেও বৌদির কিন্তু এবার টাকা উথলে পড়বে”!