গদ্যানুশীলনে সিদ্ধার্থ সিংহ (সিরিজ – ১)

চ্যালেঞ্জ

রিম্পি বলল, দেখবি, আমি বাইকে ওঠার এক মিনিটের মধ্যেই ও শুধু আমাকে নয়, স্কুটার ফেলে পালাবে, চ্যালেঞ্জ।
বন্ধুরা অবাক। সে কী করে সম্ভব! যে ছেলেটা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাইক নিয়ে এই বাসস্ট্যান্ড ওই বাসস্ট্যান্ডে ঢু মারে এবং রাস্তায় কোনও মেয়েকে একা একা হেঁটে যেতে দেখলেই গাড়ি স্লো করে জিজ্ঞেস করে, কোন দিকে যাবে?
আর কোনও মেয়ে তার বাইকে উঠলেই সে এমন স্পিডে চালায় যে, পড়ে যাওয়ার ভয়ে মেয়েরা আচমকা তাকে পিছন দিক থেকে দু’হাতে জাপটে ধরে। যে মেয়েদের ভয়ডর কম, বুঝতে পারলেই ও এমন অসভ্যের মতো ব্রেক মারবে যে, যে কোনও মেয়েই মনে মনে বলবে, ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি।
সেই ছেলে কিনা রিম্পির মতো এমন একটা চোখ ধাঁধানো মেয়েকে পেয়েও এক মিনিটের মধ্যে ছেড়ে পালাবে? হতেই পারে না।
ওরা চ্যালেঞ্জটা একসেপ্ট করে নিল। পাঁচশো টাকা বাজি।
রিম্পি শুধু বলল, আমি ওর বাইক ওঠার পরে তোদের মধ্যে থেকে কেউ শুধু আমাকে একটা ফোন করবি, ব্যস।
ওরা তাইই করল। রিম্পি ওই ছেলেটার বাইকে ওঠা মাত্রই ওদের মধ্যে থেকে একটি মেয়ে ওর মোবাইলে ফোন করল।
বাইকটা স্টার্ট করতে যাচ্ছিল, কিন্তু ফোনটা বাজতেই ছেলেটার উদ্দেশ্যে রিম্পি বলল, দাঁড়ান, দাঁড়ান, দাঁড়ান… মা ফোন করেছে। বলেই, ফোনটা কানে ধরে বলল— মা, আমি এখন বাড়ি যেতে পারব না। আমি চাই না আমার জন্য বাড়ির কেউ বিপদে পড়ুক। তুমি ব্যতিব্যস্ত হও। অ্যাঁ, হ্যাঁ হ্যাঁ, আমার রিপোর্টটা এনেছি। রিপোর্টে কোভিড পজিটিভ…
ছেলেটা এতক্ষণ কান খাড়া করে মেয়েটার কথা শুনছিল, কিন্তু যেই শুনল, কোভিড পজিটিভ… অমনি লাফ দিয়ে নেমেই দে ছুট।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।