ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন – ৩৯

ফেরা

পরদিন সকাল। সেটি আমাদের পাহাড়ের সাথে শরীরকে মানিয়ে নেওয়ার দিন। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে জানালার বাইরে তাকিয়ে থাকলাম। ছোটো পাহাড়ি জনপদ। প্রবল বেগে ছুটে চলেছেন মা গঙ্গা। জনপদ জেগে উঠেছে, চারিদিকে প্রবল ব্যস্ততা।
গরম আলুর পরোটা ও আচার খেয়ে সবাই মিলে পথে নামি। কি ঠান্ডা বাপরে বাপ। মাঝে মাঝে দমকা হাওয়া শরীর কাঁপিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে যাওয়া হলো মা গঙ্গার মন্দিরে। ছোটো মন্দির। শ্বেতপাথরের। মাকে প্রনাম করে প্রার্থনা জানাই। এগিয়ে চলা হলো গোমুখ বেসের দিকে। পরদিন যাওয়ার জন্য একটি ঘোড়া ঠিক করা হলো। সেটি আমাদের মালপত্র বয়ে নিয়ে যাবে। আর এক নেপালি যুবক মণি। আমাদের পিট্ঠু কাম গাইড। তার কাজ আমাদের পথ চেনানো ও মাঝে মাঝে আমার বোনকে কাঁধে করে নিয়ে যাওয়া। দিন কাটলো চরম ব্যস্ততার মধ্যে। মাল গোছানো, কিছু ক্লোক রুমে রাখা। এক ফাঁকে দীপক কে খবর পাঠানো, এসে যাওয়ার জন্য। আসুক সে, তারপর দেখা যাবে।
বিকেলে মন্দিরে সন্ধ্যারতি দেখে মায়ের কাছে প্রার্থনা করা হলো, আমাদের গোমুখ যাত্রার সাফল্যের। তারপর জলদি ডিনার খেয়ে এক ছুটে বিছানায়। কাল খুব ভোরে উঠতে হবে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।