ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন – ৫৯

ফেরা

যেদিন যাত্রা, সেদিন সকালেও অফিস। তবে কাজের থেকে বেশী আড্ডা আর পুজো দেওয়ার লিস্ট নেওয়া হলো। কেউ চারধামের সর্বত্র, আবার কেউ কেদারনাথ, কেউ বা বদ্রীনাথ। একটি কাগজে গুছিয়ে লিখে বাড়ি ফিরলাম। বাড়িতেও আবার আত্মীয় স্বজনদের পাঠানো লিস্ট। সব গুছিয়ে, ব্যাগ চেক করে ঘুমোতে গেলাম। ট্রেন সেই রাত ৮:২৫ এর দুন এক্সপ্রেস। বাড়ি থেকে ছটায় বেরোলেই চলবে।

পৌনে ছটা নাগাদ, দাদুর তাড়নায় বেড়াতে হলো। দাদু, কাকা,কাকিমা আর বোন এলো ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে ছাড়তে। বোনের তখন বছর দেড়েক, শেষ দু সপ্তাহ ধরে তাকে বোঝানো হয়েছে যে অনেক গুলো দিন দাদাকে দেখতে পাবে না সে। রোজ দাদা অফিস থেকে ফিরলে না খেললে তার ঘুম হয় না। আমি যখন ট্যাক্সি তে উঠছি, দেখি চোখ ছলছল করছে। মন খারাপ হলো আমারো, কিন্তু কিছু করার নেই। বেশ খানিকটা গম্ভীর মেজাজেই যাত্রা শুরু করলাম আমি। সাতটা নাগাদ পৌঁছে গেলাম বড়ো ঘড়ির নীচে। ওটাই আমাদের মিটিং পয়েন্ট।

বেশ খানিকটা সময় পাড় হলো, কিন্তু কাউকে দেখছি না। নির্মলদাকে ফোন করবো ভাবছি, এমন সময় নির্মলদা নিজেই চলে এলেন। আমাকে বললেন অধিকাংশ যাত্রীরা ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম নং জেনে চলে গেছেন, আমি যেন সেখানে যাই। তাই হোক। রুকস্যাক তুলে এগোলাম।

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!