ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন – ৮৪

ফেরা

এবার আর উখিমঠে থাকা হলো না। ঘন কুয়াশায় ঢাকা রাস্তা, বাসের জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখলাম সাত বছর আগের সেই মন ভরানো জনপদকে। সেই সাততলা ভবন, সামনের ছোট্ট দোকান, আমাদের পাগলের মতো ডিমভাজা খাওয়া, সব মনের মাঝে ফিরে ফিরে এলো।
মন খারাপ হয়ে গেল যখন বাস চোপতায় থামলো চা খাওয়ার উদ্দেশ্যে। সেই শান্ত স্নিগ্ধ চোপতা যেন কোথায় হারিয়ে গেছে। ভিড়, ঠেলাঠেলি, ঘোড়া, পিঠ্ঠু, তুঙ্গনাথ যাবার প্রচুর ভিড়। অথচ গতবার, একটি মাত্র যাত্রীদল ছিলো যাবার জন্য। সেই সময়ের পরিবেশের ছবি, মনের মধ্যে বারবার আঁকলাম, আর মন আরো খারাপ হতে থাকলো। ধুত্তোর বলে বাসে গিয়ে উঠি। বাস ছাড়ার পর দুলুনিতে আবার ঘুমিয়েও পড়ি।
বাস চলতে থাকে নদী পাহাড় পর্বত ডিঙিয়ে। পিপলকুঠী, যোশীমঠ, আরো কত না জায়গা। এই রাস্তা আমার ফেরত আসার রাস্তা, বাবার কাছে দেওয়া কথা পুরণের রাস্তা। আস্তে আস্তে সন্ধ্যা নাম। বদ্রীনাথের দরবারে পৌঁছোই আমরা, থাকা, সেই ভারত সেবাশ্রম সংঘে। নিজের ঘরে ঢুকি, লেপের তলায় আরাম করতে করতে একটা কথা মনে আসে।
কথায় আছে নেপালে পশুপতিনাথ দর্শন করলে, বদ্রীনাথ দর্শন হবেই হবে। আমি দুইবার পশুপতিনাথের দর্শন পেয়েছিলাম, তাই পরপর বদ্রীনাথ দেব ও সাদরে কাছে ডেকে নিলেন।

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!