ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন – ৯৯

ফেরা

দশটা বছর। কোথা দিয়ে পার হয়ে গেল। জীবন কিভাবে বাঁক নিয়েছে, প্রতি মুহূর্তে, তা এই দশটা বছর পর আমিই জানি। খানিকটা সময় চুপ করে থাকি, মনে মনে প্রনাম জানাই বাবাকে। এটাও ভাবি, আজকের দিনে বেড়াতে গেছি, বাবাকে এও তো এক ধরণের শ্রদ্ধা জানানো, কারণ বেড়ানোর বীজ তো ওনার থেকেই পাওয়া।
ভাবতে ভাবতে কখন যেন ঘুমিয়ে গেছি। বেলা একটা নাগাদ, তিনজন মিলে বেরোই। একটা অটো ধরে, একে তাকে জিজ্ঞেস করে, পরাঠা গলি।
পরাঠা গলি। চারদিকে অজস্র দোকান, মূল জিনিস একটাই পরাঠা। তার কতো না রকমফের। আলু, মুলো, কপি, টমেটো। মোটামুটি যা যা জিনিস পেয়েছে, তাই দিয়ে পুর ভরে পরাঠা ভেজেছে। একটি বড়ো কটোরায় যে যা চাইবে পরাঠা, আলু মটরের সব্জি, মুলো শসার আচার আর ধনে পাতার চাটনি। তিন জনে তিন রকম নিয়ে খাই। বাহঃ বেশ খেতে। একদম অন্যরকম। খেয়ে দেয়ে বেড়িয়ে ওখান থেকে মীনা বাজার।
দুজন ব্যস্ত হয় দুল খুঁজতে। আমি ক্যাশিয়ার মানুষ, টাকা দিয়েই খালাস। যাইহোক এক সময় কেনা কাটা সাঙ্গ হয়। এরপরের ইচ্ছা মেট্রো চড়ার। কাছাকাছি মেট্রো স্টেশন যাই, কিন্তু টিকিট কাটতে গিয়ে যা অভিজ্ঞতা হয়, তা ভোলার নয়।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।