ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন – ৪৩

ফেরা

ভোরবেলা চূড়ান্ত হাঁকডাকে ঘুম ভাঙলো। আমরা নীচের তলায় রুম পেয়েছিলাম, তার থেকে একটু এগিয়েই ছিলো কমন বাথরুম। আমাদেরও পরে একদল দেহাতি এসে উপরের ডর্মিটরিতে রাত কাটিয়ে ছিলো। সকাল বেলা তারাই বাথরুমে লাইন লাগিয়ে চিল চীৎকার জুড়েছে। আমরা যখন ঘর ছাড়াও, তখন কমন বাথরুমের সামনের রাস্তা বাধ্য হয়েই বাইপাস করতে হলো, গন্ধে অন্নপ্রাশনের ভাত উঠে আসার জোগাড়। তারা কিন্তু তার মধ্যেও দিব্বি দাঁড়িয়ে আছে।

ব্রেকফাস্ট সেরে প্রথমে উত্তরকাশী। দীপকের আজ মেজাজ খুশ,নিজে থেকেই সব মন্দির দেখালো। দুপুরে একটা ধাবায় আলুপরোটা ও আচার খেয়ে বেলা বেলি পৌঁছে গেলাম গুপ্ত কাশী। সেখানের মন্দিরগুলি তে একটা বুড়ি ছোঁয়া ঘুরে বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ গৌরীকুন্ড।
প্রথমেই ভারত সেবাশ্রম সংঘের ঘরে জিনিস পত্র রেখে পাশেই উষ্ণ কুন্ডে গিয়ে শরীর ডোবালাম। আহ কি আরাম। আমাদের প্রতিজনের গা ব্যথা নিমেষে কমে গেলো। একটু এদিক সেদিক ঘোরার এনার্জি সবাই পেয়েছিল, কিন্তু বাদ সাধলো তুমুল বৃষ্টি। আকাশ যেন ভেঙে ভেঙে পড়ছে। তড়িঘড়ি আশ্রমে ফিরে লেপের আশ্রয় নিয়ে চা সহযোগে জমিয়ে আড্ডা বসলো। রাত নয়টা নাগাদ খেয়ে এসে যখন শুতে যাচ্ছি, তখনো বৃষ্টি অবিরাম। কে যানে কাল কপালে কি আছে। দেবাদিদেব কে স্মরণ করে ঘুমাতে গেলাম, আশায় থাকলাম তিনি নিশ্চিত ডেকে নেবেন তাঁর কাছে।।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।